ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা স্মরণে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে জুলাই উইমেন্স ডে।
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সাহসিকতা, ত্যাগ ও নেতৃত্বের প্রতি সম্মান জানাতে সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নারী শিক্ষার্থীর সরব উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে এক অনন্য মিলনমেলা। আয়োজনে বিশেষ মুহূর্ত ছিল নারী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, যেখানে তাঁরা প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেন জুলাই আন্দোলনে তাঁদের সাহসিকতা ও সংগ্রামের গল্প।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
অনুষ্ঠানে ‘জুলাই’কে উপজীব্য করে নির্মিত একাধিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়, যেখানে নারী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ও অভিজ্ঞতা ফুটে ওঠে। সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান, এলিটা করিম, পারশা মেহজাবিন, এবং বিভিন্ন ব্যান্ডের শিল্পীরা।
শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত নারীরা আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন জুলাই আন্দোলনে তাঁদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগের কথা। এক মনোমুগ্ধকর ড্রোন শো এর মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়।
আয়োজকরা জানান, জুলাই উইমেন্স ডে কেবল একটি উৎসব নয়, এটি নারী নেতৃত্ব, আত্মত্যাগ ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নারীদের অবিস্মরণীয় অবদানের প্রতীক। ভবিষ্যতে প্রতিবছর জুলাই মাসের এই দিনটি ‘নারী বীরত্ব দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :