২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিচালিত এক শিফট ও দুই শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাপ্তাহিক ক্লাস রুটিন প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)।
এক শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে ১ম ও ২য় শ্রেণিতে হবে ৪টি পিরিয়ড। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণিতে হবে ৭টি পিরিয়ড। প্রতিদিন স্কুল শুরু হবে সকাল ৯টায়। ক্লাস শুরু আগে দৈনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়াও দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে ১ম ও ২য় শ্রেণিতে হবে ৪টি পিরিয়ড। শুরু হবে ৯টায়। প্রতিদিনের সমাবেশ হবে ক্লাসের পর। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণিতে হবে ৫টি পিরিয়ড। প্রতিদিন স্কুল শুরু হবে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে। শুরুতেই থাকবে সমাবেশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির ওয়েবসাইটে এ রুটিন প্রকাশ করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, প্রধান শিক্ষকরা নিজ নিজ বিদ্যালয়ের সুবিধা অনুযায়ী নির্ধারিত বিষয়ের পিরিয়ডে বরাদ্দ করা সময় ঠিক রেখে রুটিন পরিবর্তন করতে পারবেন। প্রথম পিরিয়ডের শেষ ১০-১৫ মিনিট শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী পঠন ও লিখন দক্ষতা বৃদ্ধি বা শিখন ঘাটতি পূরণের জন্য শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ১ম ও ২য় শ্রেণিতে বাংলা এবং গণিত- সপ্তাহে ৫দিন; ধর্ম শিক্ষা সপ্তাহে ২দিন; ইংরেজি- সপ্তাহে ৪দিন; শিল্পকলা সপ্তাহে ১দিন।
১ম ও ২য় শ্রেণিতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা- সপ্তাহে ১দিন; সমন্বিত (সা.বি ও প্রা.বি)- সপ্তাহে ১ দিন। ১ম ও ২য় শ্রেণি- পঠন ও লিখন দক্ষতা উন্নয়ন বা সম্পূরক পঠন সামগ্রী অনুশীলনও সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম- সপ্তাহে ১দিন।
৩য়-৫ম শ্রেণি- বাংলা এবং গণিত সপ্তাহে ৫ দিন, শ্রেণি-ইংরেজি- সপ্তাহে ৪দিন, ৩য় শ্রেণি-শিল্পকলা সপ্তাহে ১দিন। ৩য়-৫ম শ্রেণিতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা- সপ্তাহে ১দিন; ৩য়-৫ম শ্রেণি- বিজ্ঞান এবং ধর্ম- সপ্তাহে ৩ দিন। ৩য়-৫ম শ্রেণিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (বাওবি) সপ্তাহে ২দিন; ৪র্থ-৫ম শ্রেণি চারু ও কারুকলা (ঢাকা)/সংগীত সপ্তাহে ১দিন। রুটিনে বিভিন্ন সহশিক্ষাক্রমিক কার্যক্রমের সুযোগ রয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন সময় বা ভৌগোলিক অবস্থা বা জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগপূর্বক স্থানীয় পর্যায়ে রুটিনে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা যেতে পারে। যেকোনো ধরনের মূল্যায়ন কার্যক্রমের উত্তরপত্র ১ বছর সংরক্ষণ করতে হবে।
বিষয়ভিত্তিক পারদর্শী, দক্ষ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্তৃক ১ম-৫ম শ্রেণির সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনায় অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে। যাতে শিক্ষক শিক্ষার্থীর শিখনের জন্য দায়বদ্ধ থাকেন।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ের মোট কর্মদিবস এবং সাপ্তাহিক ক্লাস রুটিন প্রণয়নে প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যে সব বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, সেসব বিদ্যালয় রুটিনে উল্লিখিত সময়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় রচিত পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু অনুযায়ী শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
