এমপিওভুক্ত পৌনে চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জুলাই মাসের বেতন ও বিশেষ সুবিধার টাকা আইবাস ডাবল প্লাসের ইলেকটনিক্স ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) যুক্ত হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে এই টাকা শিক্ষকদের হাতে পৌঁছাবে। তবে কিছু শিক্ষক আছেন যারা জুলাই মাসের বেতন দেরিতে পাবেন।
সেই তালিকায় রয়েছেন বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ৭ থেকে ১০ কর্মদিবস পরে জুলাই মাসের বেতন পাবেন তারা।
সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ইনক্রিমেন্ট ও অন্যান্য হিসাব সংক্রান্ত কাজ চলমান থাকায় জুলাই মাসের সরকারি অংশের বেতন-ভাতা বিলম্বিত হতে পারে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) ড. কে এম শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের জানানো যাচ্ছে যে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের ইনক্রিমেন্ট হিসাবসহ বিভিন্ন কাজ এখনও চলমান। এসব কাজ শেষ করতেই অতিরিক্ত সময় লাগছে।
অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় থাকা দেড় লাখেরও বেশি শিক্ষক-কর্মচারীদের অপেক্ষা ও ধৈর্যের অনুরোধ জানিয়েছে কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এতে চিন্তার কোনো কারণ নেই। বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা এ সপ্তাহে না পেলেও পরের সপ্তাহের শেষের দিকে বেতন-ভাতা পেয়ে যাবেন।
কয়েকদিন আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জুলাইয়ের বেতনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। জুলাই মাসে মোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে স্কুলের ২ লাখ ৯১ হাজার ২৬২ জন ও কলেজের ৮৭ হাজার ১৯৫ জন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংকের মাধ্যমে অ্যানালগ পদ্ধতিতে ছাড় হয়।
এ অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানান ভোগান্তিতে পড়তে হতো। তবে বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও ইএফটিতে বেতন পাওয়া শুরু করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :