শিক্ষার্থীদের সমর্থনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী: ছাত্রদল সম্পাদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে সেটি দেখে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।

তিনি রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে তাদের মতামত জানাচ্ছেন এবং সেই প্রক্রিয়ায় ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে। ফলে জয়ের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপকালে এসব আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ভোটগ্রহণ চলছে। এখনো অনেকটা সময় রয়েছে। তবে যে রকম সাড়া পাওয়া যাচ্ছে আমরা খুবই আশাবাদী। শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বিশেষ করে আমাদের প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা অতীতে গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে সক্রিয় ছিলেন, গত ১৭ বছরের রাজনীতিতেও তারা ধারাবাহিকভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান করেছেন। এই প্যানেলের প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সবসময় সোচ্চার ছিলেন এবং ভবিষ্যতে তাদের অধিকার রক্ষার সক্ষমতাও রয়েছে।

একজন ভোটারকে দুটো ব্যালট পেপার দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল সভাপতির

বিস্তারিত পড়ুন

এই নির্বাচনকে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর ধরে তরুণদের মতামতকে বাদ রেখে যে ধরনের শাসন কায়েম করা হয়েছিল, সেই শাসনব্যবস্থা শিক্ষার্থীরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে প্রতিহত করেছে। তাই ডাকসুর এই নির্বাচন হচ্ছে পরিবর্তিত বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। আমরা মনে করি, ডাকসুর নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের একটি প্রাথমিক সূচনা হলো। আজকের এই দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই  যেন কেন্দ্রে আসেন। বিশেষ করে যারা দূর-দূরান্ত থেকে কষ্ট করে পড়াশোনা করছেন, তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।