নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল (অপূর্ব রাদ) কর্তৃক পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর ১টার পর বুটেক্সের পকেট গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা ব্যানার–প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে দিতে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধনে রূপ নেয়।
নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার, দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ, আল কুরআনের অপমান সইবে না মুসলমান, সেক্যুলারিজম মুর্দাবাদ, আল কুরআনের শত্রুরা সাবধান ইত্যাদি স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে ওঠে।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও এতে অংশ নেন।
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদ সরকার বলেন, ‘আমরা সকলে জানি ইসলামের শত্রুরা সুপরিকল্পিতভাবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে, সমকামিতাকে বৈধ করার চেষ্টা করছে। যে ছেলেটি কোরআন অবমাননা করেছে, তার কাজটি আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। সরকারকে সতর্ক করে বলতে চাই, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মুসলিম জনতা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী ইসলামবিদ্বেষ ছড়াতে চাইছে। তাদের হুঁশিয়ার করছি, যদি ইসলাম পালনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় আমাদের সাধারণ ছাত্ররা ও জনগণ তা মেনে নেবে না। প্রয়োজনে পুরো ক্যাম্পাস ঘেরাও করার মতো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।’
ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল হাজ্জ বলেন, ‘আল-কুরআন মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ মহাগ্রন্থ। একে অবমাননার শাস্তি শুধু মৃত্যুদণ্ডই হতে পারে। বাংলাদেশের আইনে ধর্ম অবমাননার কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। তাই এই কুলাঙ্গারকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে।’
এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ওসমান মাহদী বলেন, এই কাজ শুধু কোরআনের অপমান নয়, বরং মুসলমানের অন্তরে আঘাত। অথচ কিছু মিডিয়া আবার চেষ্টা করছে একে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে চালিয়ে দিতে। যদি সত্যিই সে পাগল হতো, তবে কীভাবে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে পড়েছে বা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে? এ রকম ধোঁয়াশার চেষ্টা বাংলার মানুষ আর মেনে নেবে না।’
সবশেষে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক থেকে স্লোগান দিতে দিতে পুনরায় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং পকেট গেটে এসে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।