রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম

হামলার ঘটনায় সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার মশাল মিছিল

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত গ্রাফিতি রাখা ও না রাখা নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির চলাকালে হাতাহাতি ও হামলা ঘটনা ঘটেছে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ ও  ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে দুটি সংগঠনের মধ্যে।  এ ঘটনায় ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ সদস্যদের বিচার দাবি করে মশাল মিছিল করেছে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় টিএসসি থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে রোকেয়া হল, ভিসি চত্বর, সূর্যসেন হলসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, জুলাই অভুত্থানের বৈষম্যহীন চেতনার অংশ হিসাবে দেয়ালের একটি গাছে শিক্ষার্থীরা লিখেছিলো এখানে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ , খ্রীস্টান ও আধিবাসী থাকবে। সব মিলিয়েই এই বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে পাঠপুস্তকে এটি অন্তর্ভুক্ত হয়।

পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি নামে এনসিটিবি ভবনে যায়। তারা এনসিটিবিকে বাধ্য করে পাঠ্যপুস্তক থেকে এটি বাদ দেওয়ার জন্য। এটি বাঙালী উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তা। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এনসিটিভির সামনে যায়। আমরা দেখলাম স্ট্যাম্প দিয়ে আধিবাসী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির শিক্ষার্থীরা। সেখানে বেশ কয়েজন আহত হয়েছে। আমরা বলতে চাই জুলাই গণঅভুত্থানের চেতনায় সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ থাকবে। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।  

পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা বলেন, আমার আত্মপরিচয় আমি ঠিক করবো। একজন বাঙালী যেমন চামকা হতে পারে না, তেমনি একজন চাকমা মারমা, ত্রিপুরা বাঙালী হতে পারে না। এই দেশের মানুষের একটাই পরিচয় হবে সেটা হলো বাংলাদেশী।  পাহাড়কে সেনাশাসনের মধ্যে রেখে বৈষমহীন সমাজ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। আজকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।  তাদের বিচারের আওতায় আনা দরকার। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়।  জাতিকে বিভাজন করতে চায়। এ বিভাজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ কখনও মেনে নিবে না।  

আরবি/এস

Shera Lather
Link copied!