ঢাকা বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

‘জুলাইয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাত্রদল’

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি জহির রায়হান আহমেদ। ছবি-রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি জহির রায়হান আহমেদ বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে একক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এর তালিকাও প্রকাশ করেছি। শেখ হাসিনার সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে ছাত্রদল লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছে।’

মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ১১টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে সদস্য ফর্ম বিতরণ ও গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইবি শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জহির রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশের পরাজিত শক্তিরা একত্রিত হয়ে এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে, যাতে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসিত করা যায়। ছাত্রদল গত ১৬ বছর রাজপথে লড়াই করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় ছাত্রলীগের মতো খুনি, সন্ত্রাসী সংগঠনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে রাজনীতি করা সংগঠনের নাম ছাত্রদল।’

তিনি বলেন, ‘একটি দল আছে, যারা ছাত্রদলের নেতারা খুন হলে উল্লাসে মেতে ওঠে, বিভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। ৫ তারিখে শেখ হাসিনা পালিয়ে না গেলে অনেক মাস্টারমাইন্ডকেও আমরা দেখতে পেতাম না। যারা এখন অনেক বড় মাস্টারমাইন্ড বনে গেছেন।’

কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘আমরা যখন এখানে আলোচনা করছি, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্মী শাহানুরের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। কিছুদিন আগেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে, পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এই বাংলাদেশের জন্য ১৭ বছর লড়াই-সংগ্রাম করিনি। যারা সুপরিকল্পিতভাবে এসব করছেন, হত্যার মতো জঘন্য কার্যক্রম চালাচ্ছেন তাদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ছাত্রদল ভেসে আসা কোনো সংগঠন নয়, ছাত্রদল ফ্যাসিস্ট হাসিনার সন্ত্রাসী সংগঠন  ছাত্রলীগের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, টেক্কা দিয়ে রাজপথে টিকে থাকা সংগঠন।’

নতুন ধারার রাজনীতির সম্পর্কে এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হল দখলদারত্বের যে রাজনীতি করেছে, সেই ধারায় কিন্তু ছাত্রদল যায়নি। নতুন ধারার রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মেধাভিত্তিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। আমরা বাইক শোডাউনে যাইনি, দখলদারত্বেও যাইনি।’

এদিন কর্মসূচীর শুরুতেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্থাপিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ, জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে সদস্য নবায়ন ও আলোচনা সভা শুরু হয়।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব মাসুদ রুমি মিথুনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবির জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোমিনুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ, আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, ওমর শরীফ, রোকন উদ্দিন, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন প্রমুখ।