ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

জবিতে ছাত্রসংসদ নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষক ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদের ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে তাকে দুপুরের দিকে আটক করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে মারধর করা হয়।

এ সময় বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাদের ওপরও গালিগালাজ ও শারীরিক হামলা চালানো হয়। পরে বাগছাস নেতারা ঘটনাস্থলে এলে তারাও ছাত্রদলের হামলার শিকার হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বাগছাস জবি শাখার আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমাদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুকের ওপর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ও সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। আমি বিষয়টি ঠেকাতে গিয়ে অনুরোধ করলেও আমাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে লাথি ও ঘুষি মারা হয়। ছাত্রদলের নামে কিছু অছাত্র সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া এবং হামলায় আহত বাগছাস নেতা ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমাদের এক সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালানো হলে শিক্ষকেরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। তখন শিক্ষকদের ওপরও হামলা হয়। আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

অন্যদিকে, জবি ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন ঘটনার দায় অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা খবর পাই, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে এবং অরাজকতা সৃষ্টি করছে। সাজিদ নামে এক ছাত্রের ফেসবুক পোস্ট থেকে এ আশঙ্কা আরও জোরাল হয়। তাদের কার্যকলাপ রুখতে গেলে উল্টো তারা আমাদের ওপর মব তৈরি করে হামলা চালায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে সেখানে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত। শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিষয়টি দেখছেন, এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’