রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে যুবদল নেতার পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হল থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিজয়-২৪ হল ঘুরে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে প্রায় ১০ মিনিট অবরোধ কর্মসূচি পালন এবং নানা স্লোগানে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি, যেখানে দিবালোকে একজন মানুষকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে। আমরা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম এই বর্বরতার প্রতিবাদেই। আজ যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হয়, তাহলে আবারও এমন হত্যাকাণ্ড ঘটবে।’
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা ‘যুবদলে মানুষ মরে, তারেক রহমান কী করে’, ‘জ্বালো রে জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘যুবদলের চাঁদাবাজরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমার ভাই মরল কেন? ইনটেরিম জবাব দে’, ‘মিটফোর্ড খুন কেন? তারেক রহমান জবাব দে’, ‘সারা দেশে সন্ত্রাস কেন? তারেক রহমান জবাব দে’—এমন সব স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলেন।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রকিব মাহমুদ বলেন, ‘৯ জুলাই যে নৃশংসতা ঘটেছে তা আওয়ামী লীগের নির্মমতাকেও হার মানায়। আমরা আবারও কোনো জুলাই বিপ্লব চাই না, কিন্তু যদি কেউ সন্ত্রাসী আচরণ করে—বাংলাদেশে আবারও জুলাই ফিরে আসবে।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, ‘৫ আগস্ট আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আবার আমরা নতুন করে ফ্যাসিবাদের উত্থান দেখছি। ২৪ সালের আন্দোলনে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, তেমনি আবারও গড়ে তোলা হবে। আমরা চাই একটি সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ।’
বিক্ষোভ শেষে গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভা পরিচালনা করেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন রসায়ন বিভাগের রাকিব মাহমুদ ও হাসিবুল হোসেন, দর্শন বিভাগের ইফতেখার সায়েম ও নাসিম বিল্লাহ, আইন বিভাগের শহীদুল ইসলাম শাহেদ এবং মৃত্তিকা ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।