আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করলে বিভিন্ন সেক্টরে ৮টি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছে। ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক সপ্তাহব্যাপী বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ধারাবাহিক অনুষ্ঠানে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়াসহ ৮টি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
পরিকল্পনাগুলো হলো:
১. কৃষক কার্ড: বাংলাদেশের কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষকের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য কৃষক কার্ড প্রদান করা হবে। কৃষক কার্ড থাকলে কৃষকরা পাবেন ন্যায্য মূল্যে সার, বীজ, কিটনাশক, সরকারি ভর্তুকি ও প্রণোদনা, স্বল্প মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি সুবিধা, স্বল্প ব্যয়ে সেচ সুবিধা, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ, কৃষি বিমা সুবিধা, ন্যায্য মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রয়ের সুবিধা। সেই সাথে কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ, মোবাইলে আবহাওয়া ও বাজার তথ্য, মোবাইলে ফসলের চিকিৎসা সুবিধা, মৎস্যচাষি ও প্রাণিসম্পদ খামারিরাও কৃষক কার্ডের সুবিধা পাবেন।
২. দেশব্যাপী কর্মসংস্থান—সবার জন্য সমান সুযোগ; ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা: প্রত্যেক জেলার ঐতিহ্য ও বিখ্যাত পণ্যের ভিত্তিতে কুটির শিল্প ও এসএমই খাত বিকাশে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, অ্যামাজন-আলিবাবাসহ বৈশ্বিক ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে বেসরকারি শিল্প সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সহায়ক উদ্যোগ নেওয়া, এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা স্বাচ্ছ, দলীয়করণ মুক্ত ও ব্যবসাবান্ধব করা। মেধাভিত্তিক সরকারি নিয়োগ: বিসিএস এবং সব সরকারি নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতার ন্যায্য মূল্যায়ন নিশ্চিত করা হবে, যেন সকল বৈষম্য ও দলীয় প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া গড়ে ওঠে। সাথে সমন্বয় রেখে সরকারি চাকরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। ফ্যামিলি কার্ড, কৃষক কার্ড, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, শিল্পায়ন, আইটি, অবকাঠামো, পরিবেশ ও জ্বালানিসহ সব খাতে বিএনপির পরিকল্পিত প্রোগ্রাম ও প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে, পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি খাতে লক্ষ-লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে নতুন শিল্প: সাইবার নিরাপত্তা, আউটসোর্সিং, ইন্টেলিজেন্স, সেমিকন্ডাক্টরসহ আইটি সেক্টরে নতুন শিল্প গড়ে তুলে সরাসরি ড্যান্সিং, ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি ও কনটেন্ট ক্রিয়েশনের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে আট লাখ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা।
দেশব্যাপী কর্মসংস্থান: সবার জন্য সমান সুযোগ: আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সুবিধা প্রদান করা হবে। ফ্রিল্যান্সার ও প্রযুক্তিবিদদের জন্য পেপালসহ আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালু করে বৈশ্বিক অর্থ লেনদেন, কেনাকাটা, বিল ও ফি ডিজিটালভাবে সহজ করা, এবং বাংলাদেশ ও বিদেশের ব্যাংকের ব্যবসার নিয়মতান্ত্রিক পেমেন্ট ও মানি ট্রান্সফার সুবিধাজনক করা।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান: গ্রামের শিক্ষাহীন, গৃহিণী, প্রবীণ ও দীর্ঘমেয়াদি বেকারদের জন্য লক্ষ্যভিত্তিক কর্মসংস্থান প্রোগ্রাম চালু করা, যার মধ্যে থাকবে হস্তশিল্প, কুটিরশিল্প, ক্ষুদ্র ব্যবসা, কম্পিউটার ও ডিজিটাল দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং তাদের প্রদান করা হবে সুলভ হারের মাইক্রো-ক্রেডিট ও সরঞ্জাম সহায়তা। অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতিতে সহযোগিতা: রিকশাচালক, দিনমজুর, হকার, ফুটপাত বাবসায়ী ইত্যাদি অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রাইভেট সেক্টরে সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা যৌক্তিক মজুরি নিশ্চিত কর পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে দৈনন্দিন আয়ের সুযোগ ও প্রশিক্ষণ প্রদান।
দেশব্যাপী কর্মসংস্থান: সবার জন্য সমান সুযোগ। সবার জন্য ইন্টারনেট সুবিধা: সরকারি অফিস, গ্রামীণ ডিজিটাল সেন্টার, হাসপাতাল, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরসহ নির্দিষ্ট জনবহুল স্থানে বিনামূল্যে ইন্টারনেট চালু করে তথ্যের আদান-প্রদান, আধুনিক সেবা গ্রহণ ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও সহজ করা। বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ভাষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ: দেশব্যাপী বিদেশি ভাষা শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ চালু করা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বছরে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করা এবং বিদেশ গমনের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা প্রদান। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ও ক্যারিয়ার সেন্টার: সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ক্যারিয়ার সেন্টায় প্রতিষ্ঠা করা যার লক্ষ্য ক্যাম্পাসভিত্তিক জব ইন্টারভিউ, ইন্টার্নশিপ ও অ্যাপ্রেন্টিসশিপ আয়োজন করা।
৩. ফ্যামিলি কার্ড: স্বাবলম্বী পরিবার গড়ার প্রতিশ্রুতি। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি পরিবারকে বিএনপি সরকার দিবে। প্রতিমাসে ২০০০-২৫০০ টাকার আর্থিক সহায়তা অথবা খাদ্য সুবিধা যথা: চাল, ডাল, তেল, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধামুক্তি ও নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার নিশ্চয়তা। নারী উন্নয়নে বিএনপির উদ্যোগ একটি কার্ডেই পরিবারের নিরাপত্তা।
৪. আনন্দময় শিক্ষা, দক্ষ জনশক্তি ও আধুনিক বাংলাদেশ: ওয়ান টিচার, ওয়ান ট্যাব। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আধুনিক ও সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা অর্জনসহ সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্যাবলেট কম্পিউটার প্রদান। লার্নিং উইথ হ্যাপিনেস (আনন্দময় শিক্ষা): ক্লাস সিক্স থেকে টিম-ওয়ার্ক, পার্সোনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট, পারিবারিক, সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষাকে আনন্দময় করে তোলা। সবার জন্য কারিগরি শিক্ষা: আত্মকর্মসংস্থান ও বহির্বিশ্বে চাকরির সুযোগ তৈরিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং যোগ্য করে গড়ে তুলতে মাধ্যমিক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা। সুস্বাস্থ্য ও খাদ্যে অগ্রাধিকার: শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী সবার জন্য পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ এবং সারা দেশে পর্যায়ক্রমে প্রান্তিক ও দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ‘মিড-ডে মিল’ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন: শিক্ষামূলক ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও অনলাইন কনটেন্টের মাধ্যমে কারিকুলাম ও নৈতিক শিক্ষার জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন। বাধ্যতামূলক তৃতীয় ভাষা শিক্ষা: দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরিতে বাংলা-ইংরেজির পাশাপাশি আরবি, জাপানিজ, কোরিয়ান, ইতালিয়ান, ম্যান্ডারিন ইত্যাদি তৃতীয় ভাষা শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যায় থেকে চালু করা। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি শিক্ষা অন্তর্ভুক্তি: মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতার ইত্যাদি খেলা এবং সংগীত, নৃত্য, নাটক ইত্যাদি সাংস্কৃতিক বিষয় পাঠ্যক্রমে যুক্তকরণ।
সুশিক্ষায় মেধাবী শিক্ষক: তৃতীয় ভাষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, আইটি ও কারিগরিসহ সকল বিষয়ে মেধাবী তরুণদের শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী করে গড়ে তুলে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিদ্যমান সকল ক্যাডার ও নন-ক্যাডার শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি।
চাহিদাভিত্তিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা: দেশব্যাপী টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং-এর প্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকায়ন করে দক্ষতানির্ভর কর্মসংস্থান, হাতে-কলমে প্রযুক্তি শিক্ষা, শিল্প-কারখানায় সরাসরি ট্রেনিং এবং আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেশন চালু করা; যেন তরুণরা দেশীয় শিল্প, বাস্তবতানির্ভর প্রশিক্ষণ এবং বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির এক বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির জন্য প্রস্তুত হয়ে সরাসরি কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারে।
৫. সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ গঠনে পরিকল্পনা। দুর্নীতিমুক্ত স্বাস্থ্যসেবা। দেশের প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে জবাবদিহিতার আওতায় এনে দূর্নীতি প্রতিরোধ করা। স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ- দেশজুড়ে সকল নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নতুন করে প্রায় এক লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, যার ৮০ ভাগ হবেন নারী। মহানগর ও জেলা শহরে স্বাস্থ্যসেবা: পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরে বসবাসকারী সকল নাগরিকের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা: প্রত্যেক গ্রামের ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবাকে পৌঁছে দিতে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে ডায়রিয়া, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অপুষ্টি সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসমস্যা শুরুতেই শনাক্তকরণ, রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করে সবার আগে নারী, শিশু ও বয়স্কদের চিকিৎসা সেবা প্রদান। মা ও শিশুর পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই নিরাপদ সন্তান প্রসবসহ পূর্ণাঙ্গ মাতৃত্বকালীন সেবা, নবজাতক এবং শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ। সরকারের আর্থিক সহায়তায় উন্নতমানের বেসরকারি হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনা, স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিয়র, কিডনি ফেইলিয়র এবং ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী ও ব্যয়বহুল রোগের সুলভে বিশেষায়িত চিকিৎসা ব্যবস্থা।
ওষুধ ও ভ্যাকসিন সরবরাহের নেটওয়ার্ক: পর্যায়ক্রমে সারা দেশে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওষুধ, স্বল্পমূল্যে ক্যানসার, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ প্রাণঘাতী রোগের ওষুধ এবং বিনামূল্যে দেশের তৈরি ভ্যাকসিন সরবরাহের মাধ্যমে দুষ্প্রাপ্য ও দামি ওষুধগুলো সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনা। মশাবাহিত রোগ নির্মূল: ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধে বছরব্যাপী বিজ্ঞানভিত্তিক মশা নিধন এবং চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা। চিকিৎসা খরচ মেটাতে আর সর্বস্বান্ত হওয়া নয়, মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থাকছে সকলের দোরগোড়ায়।
৬. খতিব, ইমাম-মুয়াজ্জিন সাহেবগণের সামাজিক মর্যাদা ও জীবনমান উন্নয়ন: খতিব, ইমাম-মুয়াজ্জিন সাহেবগণকে মাসিক সম্মানি প্রদান। ধর্মীয় উৎসবে বিশেষ ভাতা প্রদান। দক্ষতা-উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি। ১৯৯৩ সালে বিএনপি সরকার প্রবর্তিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সারাদেশে বিস্তৃত করা। ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যান ট্রাষ্টকে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সময়পোযোগী ও শক্তিশালী করা। খতিব, ইমাম-মুয়াজ্জিন সাহেবগণের সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ। অন্যান্য ধর্মের (হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য) উপাসনালয়ের প্রধানগণকে মাসিক সম্মানি ও উৎসব ভাতা প্রদান এবং ওপরে বর্ণিত অন্য সুবিধাগুলোও তাদের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।
৭. নদী-খাল-বিল ও পরিবেশ রক্ষায় সারা দেশে অন্তত ২০ হাজার কিলোমিটার খাল ও নদী খনন-পুনর্খনন করে পানি প্রবাহ নিশ্চিতকরণ। তিস্তা ব্যারেজ উন্নয়ন ও পদ্মা ব্যারেজের মতো প্রকল্প গ্রহণ যাতে প্রাণ ফিরে পাবে নদী-খাল-বিল। ২৫ কোটি গাছ: ৫ বছরে রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণ দূষণমুক্ত বাতাস, নতুন বাংলাদেশের শ্বাস। সারা দেশে পর্যায়ক্রমে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা, যার মাধ্যমে তৈরি হবে বর্জ্য থেকে জ্বালানি ও জৈব সার এবং রিসাইক্লিং এর মাধ্যমে পরিবেশ হবে দূষণমুক্ত।
৮. বাংলাদেশের ক্রীড়া উন্নয়ন: ক্রীড়া হলে পেশা, পরিবার পাবে ভরসা। খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা। জাতীয় শিক্ষাক্রমে চতুর্থ শ্রেণি থেকে খেলাধুলাকে বাধ্যতামূলক করা। ‘নতুন কুঁড়ি স্পোর্টস’ কর্মসূচির মাধ্যমে ১২-১৪ বছরের প্রতিভাবান ক্রীড়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান। ৬৪ জেলায় ইনডোর সুবিধাসম্পন্ন স্পোর্টস ভিলেজ নির্মাণ। দেশের সব উপজেলায় ক্রীড়া অফিসার ও ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগ। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে বিষয়ভিত্তিক ক্রীড়া শিক্ষক নিয়োগ। প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে বিকেএসপির শাখা প্রতিষ্ঠা। সকল মহানগরসহ দেশের গ্রামীণ জনপদে খেলার মাঠের সুব্যবস্থা। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও সুবিধা বঞ্চিতদের খেলার সুযোগ নিশ্চিতকরণ। দেশে ক্রীড়া সরঞ্জাম ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন।

