ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির মধ্যে ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষে দলটির মহাসচিব আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম আবেদনটি করেছিলেন। তা গতকাল সোমবার বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রাজিউদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
এই বেঞ্চের কার্যতালিকায় এদিন রিট আবেদনটি উঠেছিল। সকালে রিট আবেদনের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার (আজ) শুনানির জন্য রেখেছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে বিষয়টি আবার উত্থাপন করে তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আরজি জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম। পরে আদালত এটি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদি হাসান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সকালে রিটের বিষয়টি আবেদনকারী উত্থাপন করলে আদালত আগামীকাল শুনানির জন্য রাখেন। বিকেলে অন্য একটি মামলা পরিচালনা করতে আদালতে এসে রিট আবেদনকারী বলেন যে তিনি রিটটি উত্থাপন করবেন না। তখন আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন।
অবশ্য রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশে নির্বাচনের একটা পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও চলছে। এই মুহূর্তে মামলাটি (রিট আবেদন) করার উপযোগী সময় নয় বলে উল্লেখ করেছেন আদালত। বৃহত্তর স্বার্থে রিটটি প্রত্যাহার অর্থাৎ উত্থাপন না করার (নট প্রেস) কথা বললে আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম বলেন, উত্থাপন না করার বলেছি, যে কারণে অন্য কোর্টে দাখিল করা যাবে না। রিট আবেদনটির এখন কার্যকারিতা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ অনুসারে সংবিধান সংশোধন প্রশ্নে গণভোট হবে। নির্বাচন কমিশন তা ধরে প্রস্তুতিও চালাচ্ছে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

