ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধের হুমকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

বেসরকারি স্কুল ও কলেজের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ নীতিমালায় এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের জন্য বেশ কিছু নতুন শর্ত ও নির্দেশনা যুক্ত করা হয়েছে।

এসব শর্ত না মানলে বেতন-ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে শিক্ষকদের।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সরকারি অংশ পেতে চাইলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী থাকতে হবে। একই সঙ্গে পাবলিক পরীক্ষায় ন্যূনতম পাসের হার নিশ্চিত করতে হবে। শহর ও মফস্বলভেদে ভিন্ন মানদণ্ড রাখা হয়েছে।

নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ এবং মফস্বলে ৯০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ২০০ এবং মফস্বলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শহরে ২৫০ থেকে ৩৯০ এবং মফস্বলে ১৯০ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকার শর্ত দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, স্নাতক (পাস) কলেজ, স্নাতক (সম্মান) কলেজ ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থীসংখ্যার আলাদা মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা নিয়োগের সময় নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করলে এবং ১০ম গ্রেডে সন্তোষজনকভাবে ১০ বছর চাকরি শেষে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। তবে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষকরা উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা পাবেন, কিন্তু সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন না।

সহকারী শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্তির পর ১০ম গ্রেডে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা পূরণ করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বেতন গ্রেড-৯ (২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা) অনুযায়ী সুবিধা পাবেন।

নতুন নীতিমালা প্রকাশের পর দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আলোচনা শুরু হয়েছে। শিক্ষকরা মনে করছেন, নতুন শর্তগুলো অনেক প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে, আবার কেউ কেউ বলছেন, এতে শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।