ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির (প্রস্তাবিত) আওতাধীন কলেজগুলোর জন্য প্রকাশিত নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে তিতুমীর কলেজের আসন কমানোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ছদরুদ্দিন আহমদ।
রোববার (৩ আগস্ট) রূপালী বাংলাদেশকে তিনি জানান, আসন সংখ্যা না কমানোর বিষয়ে শিক্ষার্থীদের যে দাবিগুলো তা আমি ইউজিসির কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম। যেহেতু ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নামে কোন বিশ্ববিদ্যালয় এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি তাই এখনই আসন কামানো কখনো যৌক্তিক হতে পারে না।
ড. ছদরুদ্দিন আহমদ বলেন, তিতুমীরের আসন সংখ্যা কমানোতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কলেজের কর্মচারীরা। তাদের বেতন দেওয়ার একমাত্র উৎস শিক্ষার্থীদের থেকে আদায়কৃত ফি।
তিনি আরও বলেন, পূর্বে তিতুমীর কলেজে যখন ৫২ হাজার শিক্ষার্থী ছিল সে অনুযায়ী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে, এতে আমরা কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছি। এরপর যদি আরও আসন কমানো হয় তাহলে এসব কর্মচারীদের বেতন দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে তাদের সকলকে ছাঁটাই করতে বাধ্য হতে হবে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ আহমেদ বলেন, ‘সিট সংখ্যা কমানো একটি ইতিবাচক দিক। এতে করে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমবে এবং পাঠদানের মান বাড়বে বলে আমি মনে করি।’
প্রসঙ্গত, সরকারি তিতুমীর কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে আসন সংখ্যায় বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে কলেজটির আসন সংখ্যা ২,০০০টি নির্ধারণ করা হয়েছে। গত শিক্ষাবর্ষে এই সংখ্যা ছিল ৫,৪২৭টি। এক বছরের ব্যবধানে আসন কমে ৩,৪২৭টি দাঁড়িয়েছে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাণিজ্য অনুষদে আসন সংখ্যা ৪১৫টি, বিজ্ঞান অনুষদে ৮২০টি এবং কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ৭৬৫টি।
আগামী ৩ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে এই ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ২২ আগস্ট শুক্রবার, বিকেল ৩টা–৪টা; বিজ্ঞান ইউনিটের ২৩ আগস্ট শনিবার, বেলা ১১টা–১২টা; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ২৩ আগস্ট শনিবার, বিকেল ৩টা–৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।