আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা। এক্ষেত্রে নিয়মনীতি ঠিক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে। ৯ সেপ্টেম্বর ভোট কার্যক্রম।
নির্বাচনি প্রচারণায় ভোটার বা প্রার্থী ব্যতীত অন্য কেউ কোনোভাবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচার চালাতে পারবেন না।
প্রচারণায় সাদাকালো পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ছাপানো ও বিলি করা যাবে। তবে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিলে কোনো প্রার্থী নিজের সাদাকালো ছবি ব্যতীত অন্য কারও ছবি বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হল এলাকায় অবস্থিত কোনোপ্রকার স্থাপনা, দেওয়াল, যানবাহন, বেড়া, গাছ-পালা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না।
কেউ কোনো কালি বা চুন বা কেমিক্যাল দ্বারা দেওয়াল বা যানবাহনে কোনো লিখন, মুদ্রণ, ছাপচিত্র বা চিত্রাঙ্কন করে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবে না।
প্রচারণা চলাকালীন ছাত্রী প্রার্থীরা নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী পাঠকক্ষ ছাড়া হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের রুমে, রুমের সামনের বারান্দায়, অতিথি কক্ষ, হল ক্যান্টিন, ডাইনিং, অডিটোরিয়াম ও ফুড কর্নারে প্রচারণা চালাতে পারবে। অন্য হলের বা অনাবাসিক প্রার্থীরা আবাসিক হলে প্রচার কার্যক্রম চালাতে গেলে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো স্থানে সভা/সমাবেশ বা নির্বাচনি প্রচারণা চালানো যাবে না। শ্রেণিকক্ষের ভিতরে ও করিডোরে মিছিল করা যাবে না।
ছেলে প্রার্থীরা ছাত্রী হলের হল প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত কেবলমাত্র অডিটোরিয়াম/অতিথি কক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবে।
নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা ৬(গ) অনুযায়ী একজন প্রার্থী বা একটি প্যানেলের পক্ষে প্রতিটি হলে একটি প্রজেকশন মিটিং এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি প্রজেকশন মিটিং করার বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রার্থী তারিখ ও সময় উল্লেখপূর্বক হল প্রশাসন থেকে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে অনুমতিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে হল অডিটোরিয়াম ব্যবহার করতে পারবে।
কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ছাত্র সংগঠন হলের অভ্যন্তরে বা ক্যাম্পাসে চিফ রিটার্নিং অফিসার/রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত স্থান ব্যতীত কোনো সভা, সমাবেশ বা শোভাযাত্রা করতে পারবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় জনগণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন সড়কে জনসভা/পথসভা/সমাবেশ এমনকি কোনো মঞ্চ তৈরি করা যাবে না।
উসকানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ যাবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিলের ক্ষতিসাধন করা যাবে না।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থী/পক্ষ আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক কোনো ধরনের সেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারবেন না, কোনো ধরনের উপঢৌকন বিলি-বণ্টন করতে পারবেন না, এমনকি আপ্যায়ন করানো, অর্থ সহযোগিতা করা কিংবা অনুরূপ কোনো কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারবেন না।
নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার প্রয়োজনবোধে স্বপ্রণোদিতভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারবেন।
কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ নির্বাচনি আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থীতা বাতিল অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার অথবা রাষ্ট্রীয়/বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্য যেকোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।