ঢাকা রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

অধিকাংশ শিক্ষক ১২ শতাংশের বেশি বাড়ি ভাড়া পাবেন : মন্ত্রণালয়

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা বৃদ্ধিতে সম্মতি দিয়েছে সরকারের অর্থ বিভাগ। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হবে। আর এ সুবিধা আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

ঘোষিত এ নতুন বাড়ি ভাড়া সুবিধা বাস্তবে আরও বেশি আর্থিক বৃদ্ধি আনবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, সরকারের ঘোষিত বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি এবং ন্যূনতম মাসিক দুই হাজার টাকা সংযোজনের ফলে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা ১২ শতাংশের বেশি বাড়বে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল পেজে দেওয়া পোস্টের এক ব্যাখ্যায় এসব তথ্য দেওয়া হয়।

মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম মাসিক ২০০০ টাকা বিবেচনায় আনলে- ৫৬ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া বাড়বে ১২ শতাংশের বেশি।

এতে আরও বলা হয়, বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম মাসিক ২০০০ টাকা বিবেচনায় আনলে- ৭৫ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া বাড়বে ৯ শতাংশের বেশি।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাড়ি ভাড়া ৫ শতাংশ হারে এবং ন্যূনতম মাসিক ২০০০ টাকা বিবেচনায় আনলে- ৮৯ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর বাড়ি ভাড়া বাড়বে ৮ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি।

এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মরিয়ম মিতুর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া ভাতা দেওয়া হবে। আর এ সুবিধা আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। সরকারের বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এ ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পালন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে—ভবিষ্যৎ জাতীয় বেতনস্কেলের সঙ্গে ভাতা সমন্বয়, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা’ অনুযায়ী নিয়োগের শর্তাদি অনুসরণ এবং কোনো অবস্থাতেই বকেয়া দাবি না তোলা।

এ ছাড়া ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের আর্থিক বিধিবিধান মানতে হবে এবং অনিয়ম ঘটলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ি থাকবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।