ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, পরীক্ষা বয়কট বুয়েটে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

তিন দফা দাবিতে দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন চলছে।

গতকাল বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন এক সংবাদ সম্মেলনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে। ঘোষণা অনুযায়ী, বুয়েটসহ দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এই কর্মসূচি পালন করছে।

তবে বুয়েটে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে অনুপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০টায় সরেজমিনে বুয়েটের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন না। বুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিমুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার আমাদের সাপ্তাহিক ছুটি। তবে শুক্রবার ছাড়া বাকি সব দিন আমাদের পরীক্ষা হয়। আজকের পরীক্ষা আমরা বয়কট করেছি এবং আমাদের শাটডাউন কর্মসূচি চলছে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের নিরাপত্তারক্ষী গোলজার হোসেন বলেন, আজকে বুয়েটে সাপ্তাহিক বন্ধ, কেউ তো আসবে না। অন্যদিকে এমই ভবনের নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ রানা জানান, গতকাল থেকেই শাটডাউন কার্যকর।

তিন দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়।

একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে রওনা হন। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস শেল এবং জলকামান ব্যবহার করা হয়। পুলিশের লাঠিপেটায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। বিকেল সাড়ে ৫টায় তারা আবারও শাহবাগে জড়ো হন এবং রাত সাড়ে ১০টার পর মোড় ত্যাগ করেন।

রাতের সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালী উল্লাহ জানান, আজ বিকেল ৫টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের কাউন্সিল হলে সভা হবে। সেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বুয়েটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ দেশের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো, নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করা, দশম গ্রেডে শুধু ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন, সেখানে যেন উচ্চ ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা এবং শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং যারা সম্পন্ন করবেন, তারাই যেন প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) লিখতে পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।