জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. তানভীর রহমান। পরিবহন খাতের সংকট এবং অনিয়ম দূর করার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। তাই তো তাকে কখনো দেখা যায় বিভিন্ন রুটে বাস বৃদ্ধির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অফিসে, আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন সংকটের সমাধান খুঁজতে উপদেষ্টার অফিসে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) জাবি শাখার আহ্বায়ক। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পর থেকেই বাসের গেট ঝুলে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি।
গত ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ক্যাম্পাসের পরিবহন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দিয়েছিলেন তানভীর।
গত ১ জুন পরিবহন সংকট তুলে ধরতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সাক্ষাৎয়ের জন্য আবেদন করেন তানভীরসহ কয়েকজন।
পরে গত ১৮ জুন আনিসুজ্জামান চৌধুরী (বিশেষ সহকারী, প্রধান উপদেষ্টা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার)-কে চিঠি দেন, যাতে তিনি উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
আবার গত ২৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), জাবি শাখা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সংকট নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সাক্ষাৎয়ের জন্য চিঠি দেওয়া হয়, তিনি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তানভীর প্রতিশ্রুতি দেন শুধু পরিবহন সংকট নয়, দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করতে চান তিনি। আর এ জন্যই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ ফুটপাত নির্মাণ, যাতায়াত ব্যবস্থা, বাসের Live Tracking App চালু, বিভিন্ন ফটকে নিরাপত্তাসহ আধুনিক বাইক ও সাইকেল স্ট্যান্ড নির্মাণ, বাস ট্রিপের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বন্ধ রুটে বাস চালু করা, ছুটির দিনে বিভাগীয় শহরগুলোতে বাস সার্ভিসের উদ্যোগ নিতে চান।
পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদপ্রার্থী তানভীর রহমান জানান, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, ঢাকার শিক্ষার্থীরা পরিবহন খাতে কতটা হয়রানির শিকার হয়। ঢাকায় তার বাসা হওয়ায় তিনি নিজেও প্রতিদিন এই ভোগান্তির মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করেন। পরিবহন খাতে চরম অনিয়ম ও সংকট শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না।
তিনি আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিন পরিবহন খাতের উন্নয়নে চেষ্টা করে গিয়েছেন, তখনো জানতেন না জাকসু আবার হবে কি না। এখন যেহেতু জাকসু মাধ্যমে এই খাতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ রয়েছে, তাই শিক্ষার্থীদের কাছে আহ্বান থাকবে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নিয়ে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতকে যাতে তারা সমৃদ্ধ করেন।