বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন না এমফিল, পিএইচডি এবং সমমানের কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা।
২৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়া ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা-২০২৫’ বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা যায়।
বিধিমালার ধারা ৪(২)-এ বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স—যেমন এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড, অথবা কোনো পেশাগত, নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স কোর্স, এমফিল, পিএইচডি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট বা ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ছাত্র সংসদের সদস্য হতে পারবেন না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও সদস্য হওয়ার যোগ্য হবেন না।
বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। তফসিলে নির্বাচনের দিন, সময়, স্থান, মনোনয়নপত্র দাখিল, প্রত্যাহার ও যাচাইয়ের তারিখসহ ফল ঘোষণার সময়সূচি নির্ধারণ থাকবে।
তবে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো আবাসিক হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না। প্রতিটি হলের শিক্ষার্থীদের জন্য একাডেমিক ভবনে এক বা একাধিক বুথ স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলের ভোটাররা কেবল ওই বুথেই ভোট দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘নীতিমালাটি আমরা কয়েকবার সংশোধন করেছি। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। নির্বাচনে শুধুমাত্র নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই অংশ নিতে পারবে।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আগামী শনিবার তাদের সঙ্গে বসে বাকি বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেরোবির আইনে ছাত্র সংসদ সম্পর্কিত কোনো বিধান ছিল না। দীর্ঘ ১৭ বছর পর এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


