জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের পরও হল সংসদগুলোতে ছাত্রদলের বিজয়ী প্রার্থীদের অনেকেই আনুষ্ঠানিক শপথ নিয়েছেন। যদিও শপথ গ্রহণ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচিতদের গত বৃহস্পতিবার আয়োজিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
ভোটের দিন বিকেল ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রদল জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। জাকসুতে তারা কোনো পদে জয়ী না হলেও বিভিন্ন হল সংসদে ছাত্রদলের প্যানেল ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিদ্রোহী প্রার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা যায়, হল সংসদে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৩৫ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচিতদের মধ্যে কেউ কেউ শপথ নিলেও, সংগঠনের সিদ্ধান্ত মেনে অনেকে শপথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। তবে ছাত্রদলের প্যানেল থেকেও কয়েকজন শপথ নিয়েছেন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘শপথ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত কেবল প্যানেল থেকে নির্বাচিতদের জন্য প্রযোজ্য।’
ছাত্রদলের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে শপথ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একজন শহিদ সালাম বরকত হল সংসদের এজিএস পদে বিজয়ী আবরার আজিম ভূঞা তাইফ। তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু শিক্ষার্থীদের ভোটে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি, তাই তাদের ম্যান্ডেটের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই শপথ নিয়েছি।’
অন্যদিকে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী সামিন ইয়াসার লাবিব বলেন, ‘কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে আমরা নির্বাচন বর্জন করেছি। তাই শপথ গ্রহণ করিনি। তবে ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠন থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
এ বিষয়ে আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘আমরা যেহেতু নির্বাচন বর্জন করেছি, তাই আপাতত আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তবে কয়েকদিন পর নির্বাচিতরা তাদের নিজ নিজ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।’
তবে সংগঠনের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে যারা শপথ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।