চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চলমান প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের অংশ হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘চুয়েটে এডমিশন বন্ধ’ শিরোনামে একটি ব্যানার টানিয়ে এ ঘোষণা দেন তারা।
এর মাধ্যমে কুয়েট, রুয়েট ও শাবিপ্রবির পর চুয়েট শিক্ষার্থীদেরও এমন ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের আহ্বানে যুক্ত হতে দেখা যায়।
ব্যানারে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ‘ডিপ্লোমা সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে দেশে মেধার চেয়ে সিন্ডিকেটের কদর বেশি। তাই সংস্কার ব্যতীত চুয়েটে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহি আল ওয়াহিদ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘বর্তমানে প্রকৌশল খাতে যে মারাত্মক বৈষম্য চলছে, সেই প্রেক্ষিতে আজ থেকে চুয়েটে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যতদিন না প্রকৌশল খাতে সংস্কার হচ্ছে, ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। একজন মেধাবী ছাত্র চার বছর পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বেকার থাকার চেয়ে অন্য কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করাই শ্রেয়।’
এর আগে, একই দাবিতে কুয়েট, রুয়েট ও শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাও তিন দফা দাবিতে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার চতুর্থ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ উদ্যোগ গ্রহণ করলেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এই তিন দফা দাবি হলো:
- নবম গ্রেডে নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি রেখে পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ;
- দশম গ্রেডকে কোটামুক্ত করে বিএসসিদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি
- বিএসসি ছাড়া অন্য কেউ যেন প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করা