ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গবেষণা ও উদ্ভাবনগুলো পেটেন্ট করতে হবে: বাকৃবি উপাচার্য

বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
বাকৃবিতে কর্মশালায় কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনগুলো অবশ্যই পেটেন্ট করতে হবে। এর মাধ্যমে গবেষকরা স্বীকৃতি ও আর্থিক সুবিধা পাবেন এবং দেশ উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয় কনফারেন্স হলে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক একটি ধারণা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রফেসর মুহাম্মদ হোসেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগার (পিএমএইচসিএল) এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (জিএআইএন)-এর যৌথ উদ্যোগে কর্মশালাটি আয়োজিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে একটি সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মশালা। কর্মশালার বিষয়বস্তু অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সচেতনতা থাকা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণে না রাখার কারণে আমাদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগ জীবনে জটিলতা সৃষ্টি করছে। যদি আমরা এই বিষয়গুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি, জাতিকে সচেতন করতে পারি এবং উপযুক্ত গবেষণা করতে পারি, তবে দেশের উন্নতি সাধন হবে।’

ভবিষ্যতে বাকৃবি বা বিনার পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সিভিল সোসাইটিকে যুক্ত করলে এ কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা যে সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি, সেটি গবেষণা, শিক্ষা ও জাতিকে সচেতন করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে। এ জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা জরুরি।’

বাকৃবিতে ‘দেশে খাদ্য পুষ্টি সমৃদ্ধকরণের গুরুত্ব’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কর্মশালায় ফুড ফর্টিফিকেশন সম্পর্কিত একটি সেন্টার স্থাপনের সমীক্ষা যাচাই, কৌশলপত্র প্রণয়ন, খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ ও বাজার তদারকি, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সুবিধাদি প্রণয়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

পিএমএইচসিএলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুল আলমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শরীফুল হক ভূইয়া এবং জিএআইএন এর লিড ড. আশেক মাহফুজ উপস্থিত ছিলেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ। এ ছাড়া জিএআইএন-এর পক্ষ থেকে মো. আবুল বাসার চৌধুরী ও ড. আশেক মাহফুজ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান, অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, ডিন ও কর্মকর্তাবৃন্দ। এতে বাকৃবির সকল অনুষদের শিক্ষক, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা অংশগ্রহণ করেন।