ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

জাবিতে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
জাহাঙ্গীরনর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। ছবি- সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২১ নং ছাত্র হলে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৫৪ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সাময়িক বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন: মো. তানভীর রহমান মুন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, মো. আবু তালহা রনি, রাজিব শেখ, এস. এম. মাহামুদুন্নবী, মো. আবু সাইদ, জান্নাতুল আদন, আহম্মেদ আরেফিন রাতুল, তাসনিমুল হাসান জুবায়ের, মো. মাহামুদুল হাসান ফুয়াদ, মো. আল হাসিব, মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. রাকিবুল হাসান নিবির, মো. জাহিদুল ইসলাম এবং উশান্ত ত্রিপুরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী একই বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদেরকে অন্ধকারে দাঁড় করিয়ে রাখা ও শৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা–সহ র‍্যাগিং করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এর নির্দেশে ‘জাবি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮’-এর ধারা ৪-এর (১) (খ) অনুযায়ী অভিযুক্ত ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, সদস্য হিসেবে সহকারী প্রক্টর ড. মো. আল-আমিন খান, এবং সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান আরিফ। কমিটিকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নবীন শিক্ষার্থীদের প্রথমে রফিক-জব্বার চত্বরে ডাকা হয় এবং পরে ২১ নং হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫৪ ব্যাচের ২০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। কক্ষে প্রবেশের পর নবীনদের দুই সারিতে দাঁড় করানো হয়, মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে বলা হয়, এবং সব আলো নিভিয়ে অন্ধকারে প্রায় ১৫–২০ মিনিট রাখা হয়।

একজন নবীন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা সবাই ভয় পেয়েছিলাম। দরজা ও লাইট বন্ধ ছিল, সবাইকে সেনাবাহিনীর ট্রেনিংয়ের মতো দুই সারিতে দাঁড় করানো হয়েছিল। হঠাৎ কয়েকজন বড় ভাই রুমে ঢুকে লাইট অন করেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।