ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

থানাভীতি কাটছে, তাড়াইলে ওসি সাব্বিরের প্রতি বাড়ছে আস্থা

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
তাড়াইল থানার ওসি মোহাম্মদ সাব্বির রহমান

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় পুলিশি সেবায় চলছে ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া। দালালমুক্ত, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে থানার ওসি মোহাম্মদ সাব্বির রহমান যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা এলাকার মানুষের আস্থা অর্জন করেছে দ্রুতই। থানাভীতি কাটিয়ে জনগণ এখন আরও সহজে, স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে আগ্রহী।

এরই ধারাবাহিকতায় মানুষের নিয়মিত সমাগমস্থল মসজিদ ও মন্দিরে গিয়ে সরাসরি জনগণের সঙ্গে কথা বলছেন ওসি সাব্বির। সচেতনতার অংশ হিসেবে তিনি স্পষ্ট করে জানাচ্ছেন- জিডি, মামলা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিতে থানায় কোনো টাকা-পয়সা লাগে না। তিনি মানুষকে বোঝাতে চাইছেন, পুলিশি সেবা জনগণের অধিকার।

মাদক, জুয়া, জঙ্গিবাদ, সাইবার অপরাধ, নারী ও শিশু নির্যাতন—এ সব বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করছেন তিনি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে অপরাধের জাল থেকে দূরে রাখতে স্কুল–কলেজে নিয়মিত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সাথে করছেন মতবিনিময়। পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় হচ্ছে উঠান বৈঠক, সচেতনতা সমাবেশ এবং গ্রামভিত্তিক নিরাপত্তা বার্তা প্রচারের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষ যাতে নির্ভয়ে তথ্য দিতে পারে, সে পরিবেশও তৈরি হয়েছে।

মাদক নির্মূলে পুলিশের কঠোর অবস্থানও আলোচনায় রয়েছে। স্থানীয় জনগণ বলছেন, আগের তুলনায় অপরাধ কমেছে এবং পুলিশের উপস্থিতি এখন মানুষের ভরসা।

ওসি মোহাম্মদ সাব্বির রহমান বলেন, ধর্মীয় উপাসনালয় এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা সবচেয়ে বেশি। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন আমরা অপরাধ প্রতিরোধের কথা বলি, তখন মানুষ দ্রুত সাড়া দেয়। আমরা চাই তাড়াইল থানাকে দালালমুক্ত, ভয়মুক্ত ও নিরাপদ রাখতে সকলে ভূমিকা রাখুক।

তিনি আরও বলেন, পুলিশি সেবা পাওয়া সবসময়ই জনগণের অধিকার। সেবা নিতে কাউকে কোনোরকম টাকা দিতে হবে না, কাউকে মাধ্যম ধরতে হবে না, থানায় আসলেই সেবা পাওয়া যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওসির এ তৎপরতা তাড়াইলের পুলিশ–জনসম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করেছে। আগে অনেকেই হয়রানির ভয়ে থানায় যেতে চাইতেন না। এখন সেই ভীতি নেই।

একজন শিক্ষার্থী বলেন, ওসি সাব্বির স্যার স্কুলে এসে যে কথা বলেন, তা আমাদের অনেক সচেতন করে। মাদক থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব বুঝতে পারছি। একজন স্থানীয় নারী বলেন, আগে থানায় গিয়ে কথা বলতে ভয় লাগত। এখন মনে হয় থানা পুলিশ আমাদের পাশেই আছে।