ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

ফিলিপাইনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতি, গ্রেপ্তার ৭

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
ফার্দিনান্দ জুনিয়র মার্কোস। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিপাইনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত ৭ জনের বিরুদ্ধে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আদালত ‘সংদিগানবয়ান’ এ অভিযোগ রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের ‘ভৌতিক’ প্রকল্পে দুর্নীতির ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বরে ম্যানিলায় দুর্নীতির প্রতিবাদে হাজার হাজার লোক রাজপথে নেমে আসে। এর পরপরই অভিযোগ তদন্তে কমিশন ঘটন করে মার্কোস সরকার। কমিশন ঘটনের দুই মাস পর গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্তদের মধ্যে ৭ জনকে।

সম্প্রতি ফিলিপাইনে দুই দফায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে সৃষ্ট বন্যায় ভুগতে হয় বাসিন্দাদের। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকারি কর্মকর্তারা বন্যা নিয়ন্ত্রণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করেছেন। এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের ঘনিষ্ঠরাও জড়িত।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের নামে বিপুল অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে কয়েকজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি জড়িত। তাদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়রের আত্মীয় ও সাবেক স্পিকার মার্টিন রোমুয়ালদেজও আছেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রকল্পটি মূলত ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের। প্রকল্পে দেশটির কো পরিবারের সানওয়েস্ট কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে নিম্মমানের সরঞ্জমাদি সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনভিক রেমুল্লা বলেন , ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্ত কো দেশের বাইরে আছেন। যদিও তার সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানে না ম্যানিলা। রেমুল্লা আরও বলেন, কো ছাড়াও বাইরে পালিয়ে যাওয়া আরও তিনজনের অবস্থান শনাক্ত করেছে ফিলিপাইন। তাদের খুব শিগগিরই পালিয়ে যাওয়া দেশে ফিলিপাইনের দূতাবাসে আত্মসমর্পনের আলোচনা চলছে। পরবর্তীতে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান রেমুল্লা।