রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিজয়-২৪ হলে বাংলা বিভাগের দ্বীন ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে একই বিভাগের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থীর র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা পর র্যাগিংয়ের শিকার ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন—বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাফি আহমেদ, মো. মনিরুজ্জামান ও সাইদুল সাকিল।
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত থাকা শিক্ষার্থীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলা ১৭তম ব্যাচের কয়েক শিক্ষার্থীকে ‘ম্যানার শেখানো’র কথা বলে হলের ছাদে ডেকে নেয় সিনিয়ররা। নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মামুন ১৭তম ব্যাচের দ্বীন ইসলামের কানে থাপ্পড় দেন। এতে দ্বীন ইসলাম কান্নায় ভেঙে পড়লে আবাসিক শিক্ষার্থীরা সেখানে ছুটে যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তদের দুজন পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বাংলা বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরা এসে দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যায়। পরে প্রক্টর ও হল প্রশাসনকে জানানো হলে সহকারী প্রভোস্ট টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেন। এ সময় আবাসিক শিক্ষার্থীরা দ্রুত বিচার এবং অভিযুক্তদের আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানান।
থাপ্পড় দেওয়ার বিষয়ে অভিযুক্তদের একজন আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তেমন কিছুই হয়নি। ছেলেটি অভিনয় করেছে। হলের ভাইয়েরা আসার পরই সে কান্নাকাটি শুরু করে।
ঘটনার পর বিজয়-২৪ হল প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে হলের সহকারী প্রভোস্ট ড. এ টি এম জিন্নাতুল বাসারকে। সদস্য হিসেবে আছেন সহকারী প্রভোস্ট সাইফুদ্দীন খালেদ এবং সহকারী প্রক্টর মো. ফায়সাল-ই-আলম।
হলের প্রভোস্ট আমির শরিফ বলেন, আমি কমিটি গঠন করে দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, র্যাগিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কেউ ছাড় পাবে না। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এরপর শৃঙ্খলা বোর্ডের বৈঠক করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

