ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

অভিনয় না করলে ‘কবি’ হতেন সারা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৫, ০২:২২ পিএম
বলিউড অভিনেত্রী সারা আলী খান। ছবি- সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী সারা আলী খান অভিনয়ে ইতোমধ্যেই নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। ‘কেদারনাথ’, ‘সিম্বা’, ‘আতরঙ্গি রে’ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক জনপ্রিয় ছবি ‘মেট্রো ইন দিনো’ প্রতিটি কাজেই তার দক্ষতা নজর কাড়ছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সারা জানান, কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করতে শিখেছেন বাবা সাইফ আলী খানের কাছ থেকেই। সাইফ ও অমৃতার বিচ্ছেদের পর তিনি মায়ের কাছে বড় হলেও বাবা-মেয়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সারা বলেন, কাজের মূল্য অবশ্যই আছে, তবে ব্যক্তিগত সুখকেও গুরুত্ব দিতে হয় এটাই বাবা আমাকে শিখিয়েছেন।

ব্যস্ততার মাঝেও নিজেকে সময়ে রাখতে ভালোবাসেন সারা। বই পড়া, নতুন শহর ঘোরা, মানুষের গল্প জানা এসবই তার প্রিয়। তিনি বলেন, আমি গল্পের ভেতর হারিয়ে যেতে ভালোবাসি। ভ্রমণ আমাকে শান্ত রাখে এবং সৃজনশীলতাকে জাগিয়ে তোলে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কে সারা মনে করেন এটি আনন্দও দেয়, আবার কখনো চাপও তৈরি করে। সোশ্যাল মিডিয়া ভালো, কিন্তু ট্রল বা তুলনার চাপকে গুরুত্ব দিই না। আমার মূল্য কখনোই ‘লাইক’-এ মাপা যায় না, বলেন তিনি।

অভিনয় না করলে কী হতেন এ প্রশ্নে হেসেই সারা জানান, তিনি হয়তো ‘কবি’ হতেন। শায়েরি লিখতাম, পার্টিতে আবৃত্তি করতাম, হয়তো ইনস্টাগ্রামে ‘সারা কি শায়েরি’ নামে সিরিজও চালাতাম! বলেন তিনি।

ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করা সারা আরও জানান, ইচ্ছে হলে তিনি সংবাদমাধ্যম বা শিক্ষাক্ষেত্রেও কাজ করতে পারতেন।

সমালোচনা নিয়ে সারা বলেন, কাজের গঠনমূলক সমালোচনা তাকে আরও ভালো হতে সাহায্য করে, তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ তিনি পাত্তা দেন না। তার ভাষায়, সবাই আমাকে চেনে না, চেনার প্রয়োজনও নেই। যারা আমাকে সত্যিকারের জানে, তাদের সঙ্গেই যুক্ত থাকতে চাই।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময় হাসিখুশি দেখা গেলেও সারা স্বীকার করেন মনমরা দিন তারও আসে। আমরা সবাই মানুষ। ক্লান্তি বা দুঃখ আসবেই, বলেন তিনি।

সম্প্রতি অনুরাগ বসুর ‘মেট্রো ইন দিনো’-তে দেখা গেছে সারাকে। ছবিটিতে তার সহশিল্পী ছিলেন অনুপম খের, নীনা গুপ্তা, পংকজ ত্রিপাঠী, আদিত্য রায় কাপুর, আলী ফজল ও ফাতিমা সানা শেখ। সামনে মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন ছবি ‘পতি পত্নী অউর ওহ’।