সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ১১:২২ পিএম

আ. লীগ সম্পৃক্ততা, ঢাবি ট্রেজারারের পিএস রুহুল আমিন ওএসডি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ১১:২২ পিএম

মুহাম্মদ রুহুল আমিন। সংগৃহীত ছবি

মুহাম্মদ রুহুল আমিন। সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ট্রেজারার অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে আওয়ামী লীগ সম্পৃক্ততা ও ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রেজিস্ট্রার ভবনের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। 

রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদ জানান, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নেতাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে ওএসডি করা হয়েছে। তিনি জানান, রুহুল আমিনের কাছে ইতোমধ্যে অফিস থেকে অব্যাহতির চিঠি পৌঁছে গেছে।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট, শেখ হাসিনার পতনের ঠিক আগের দিন, রেজিস্ট্রার ভবনের অভ্যন্তরে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলে অংশ নিতে অস্বীকার করায় কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তখন ট্রেজারার অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রুহুল আমিন মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন।

ঢাবি প্রশাসনের মধ্যে এ মিছিল ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে, যেসব কর্মকর্তা মিছিলে যোগ দেননি, তাদের ওপর নজরদারি এবং হুমকি প্রদানের বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হয়, কিন্তু রুহুল আমিন স্থায়ীভাবে বহাল থাকেন। জানা গেছে, তিনি ঢাবি পেশাজীবী লীগের বর্তমান সভাপতি।

রোববার দুপুরে ডাকসু নেতারা কোষাধ্যক্ষ অফিসে উপস্থিত হয়ে হিসাব সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় রুহুল আমিনের বিষয়ে প্রতিবাদ করেন।

ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি যুবায়ের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল। তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছিল, তারা এখনও বহাল আছে। রুহুল আমিনের মতো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

ডাকসু নেতারা আরও বলেন, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের সময় রুহুল আমিন ‘ফ্যাসিস্ট’ দলে ছিলেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কলঙ্কের অধ্যায় হিসেবে থাকবে।

উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠকে শিক্ষার্থী ও ডাকসুর নেতাদের দাবির পর মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে বিশেষ দায়িত্বে (ওএসডি) রাখা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ওএসডি করার পর তাকে ট্রেজারার অফিসের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে স্থায়ী পদক্ষেপ এবং তদন্তের পরবর্তী ধাপ এখনো নির্ধারিত হয়নি।

Link copied!