সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


যবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম

যবিপ্রবিতে অপকর্মের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়ে বিপাকে কর্মচারী

যবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

অপকর্মের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ায় কর্মচারীকে বদলি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে। তিনি রেজিস্ট্রার দপ্তরের নিরাপত্তা ও এস্টেট শাখার উপ-পরিচালক। ইতিপূর্বে একাধিক অনিয়ম ও অপকর্মের অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য শক্তিবলে স্বপদে আছেন এই কর্মকর্তা। তবে এসব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডরমিটরি থেকে কিছু আসবাবপত্র লোপাট চেষ্টার অভিযোগ ওঠে যবিপ্রবির কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে তারই দপ্তরে কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মী নারায়ণ বিশ্বাস তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য প্রদান করেন। এরপর থেকেই ঐ পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে আবারও অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী কর্মচারী নারায়ণ বিশ্বাসের বরাতে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর অসুস্থ সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে না পারায় নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জুয়েলকে ফোনে বিষয়টি জানান। তিনি নারায়ণকে নিরাপত্তা ও এস্টেট শাখার আরেক কর্মকর্তা মো. আজমল হোসেন পান্নুকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানাতে বলেন। কিন্তু পান্নু একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্রে নারায়ণ জানতে পারেন, মো. জাহাঙ্গীর কবিরের নির্দেশনায় পান্নু ফোন রিসিভ করেননি।

লিখিত ছুটি ব্যতীত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কর্মকর্তা পান্নুকে দিয়ে ঐ কর্মচারী নারায়ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিয়ে রেজিস্ট্রারের বরাবর চিঠি দেওয়ার চেষ্টা করেন জাহাঙ্গীর কবির। কিন্তু পান্নু চিঠিতে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে সফল না হয়ে নারায়ণ বিশ্বাসকে ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসে বদলির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

ভুক্তভোগী নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো চাই, তাই আসবাবপত্র লোপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটির কাছে সত্য সাক্ষ্য দিয়েছিলাম। কিন্তু জাহাঙ্গীর কবির স্যার সেটা পছন্দ করেননি। তাই তিনি বিভিন্নভাবে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। আমাকে দূরের ক্যাম্পাসে বদলি করার মাধ্যমে তিনি আমার পরিবারকে কষ্ট দিতে চাইছেন। আমি এমনিতেই অসহায় মানুষ, আমাকে ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসে বদলি করা হলে আমার পরিবারের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মহা বিপদে পড়ব।’

অভিযোগের ব্যাপারে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা ও এস্টেট শাখা) মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে যারা এমন অভিযোগ তুলছে, আমি মনে করি তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘তার দুইটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সাক্ষী হওয়া কর্মচারীকে হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগেই জাহাঙ্গীরকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল যেন তিনি কোনো অধীনস্থ কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আচরণ না করেন। তবে নতুন করে যদি তার বিরুদ্ধে এমন কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত বোর্ড যদি শাস্তির সুপারিশ করে, সামনের রিজেন্ট বোর্ডে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্দকৃত আসবাবপত্র লোপাট চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে স্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া আউটসোর্সিং জনবল হিসেবে কর্মরত পাঁচজন অনুপস্থিত কর্মচারীর নামে ভুয়া বেতনশিট তৈরি ও সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি ‘বিএসএস’-এর সঙ্গে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তদন্ত প্রতিবেদনে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

Link copied!