ঢাকা বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবি

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিন্ডিকেট, জুলাই হামলায় মদদদাতা শিক্ষক এবং পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের অবিলম্বে বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রশক্তির অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন সামনে এ কর্মসূচি হয়। এতে পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীসহ ছাত্রশক্তির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মারিয়ুর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই হামলার মদদদাতা ১৭ জন শিক্ষকের বিচার দাবি জানান।

পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন বলেন, ‘আমার চতুর্থ বর্ষের রিপোর্টে ইচ্ছাকৃতভাবে কম গ্রেড দেওয়া হয়েছে। আমি এবং আমার সুপারভাইজার ড. মনির হাসান খান প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করি। তদন্ত কমিটি রিপোর্টটি পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করে এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পর ফলাফল উন্নীত হয়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম গ্রেড দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমি প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি।’

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আগামীকাল সিন্ডিকেট সভায় এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন অন্যায় করতে না পারে।’

বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি, জাবি শাখার অন্যতম সংগঠক জিয়াউদ্দিন আয়ান জুলাই হামলায় মদদদাতা অভিযুক্ত শিক্ষক এবং পরীক্ষার ফলাফল টেম্পারিং ও অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আমলে নিচ্ছে না; গড়িমসি করছে। উপাচার্যকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই আপনাদের নুরুল আলমের প্রশাসনের মতো কাজ করতে দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাই হামলায় মদদদাতা শিক্ষকদের বিচার নিশ্চিত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে বিচার বিলম্বিত করছে—জাতীয় নির্বাচনের পর দলীয় সরকারের প্রভাব কাজে লাগিয়ে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে।’

ফলাফল টেম্পারিং প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কীভাবে ফলাফল টেম্পারিংয়ে জড়িত শিক্ষকরা এখনো তাদের পদে বহাল আছেন এবং ক্লাস নিচ্ছেন?’ তিনি অবিলম্বে প্রাণিবিদ্যা বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের জড়িত শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান, যাতে কোনো শিক্ষার্থীর একাডেমিক জীবন ধ্বংস না হয়।

কর্মসূচিতে জাবি শাখা ছাত্রশক্তির সদস্য মো. নাহিদ হাসান ইমন, মোহাম্মদ আলী চিশতিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।