রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ঠিকাদার কর্তৃক সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ঠিকাদারদের শাস্তির দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন ক্যাম্পাসে কর্মরত তিন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
হেনস্তার শিকার সাংবাদিকের নাম সোহাগ আলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এবং চ্যানেল টুয়েন্টিফোর টিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রক্টর দপ্তরে এ হেনস্তার ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, অভিযুক্তদের পরিচয় এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে জানা যায়নি।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে সোহাগ আলী প্রক্টর দপ্তরে একটি সাংগঠনিক কাজে উপস্থিত হন। এ সময় প্রায় ১৫-২০ জন ঠিকাদার সমাবর্তনের রং করার কাজের টেন্ডারসংক্রান্ত বিষয়ে প্রক্টর দপ্তরে অবস্থান করছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে উচ্চৈস্বরে ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছিলেন।
ওই পরিস্থিতি ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিক সোহাগ আলী রেকর্ডিং শুরু করলে উপস্থিত একজন ব্যক্তি তাকে ভিডিও বন্ধ করার নির্দেশ দেন এবং আকস্মিকভাবে তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। পরে আরও কয়েকজন ব্যক্তি তাকে টেনেহিঁচড়ে দপ্তরের বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি অবনতি হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সহকারী প্রক্টর তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করে তাকে উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে জানা যায়, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের চারটি ভবনে চলমান রং করার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। কাজ বন্ধ-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য তারা প্রক্টর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলো পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি বলেন, ‘ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা সবসময় সত্য প্রকাশে কাজ করেন। অনিয়ম ও দুর্নীতি সকলের সামনে তুলে ধরেন। যারা এমন আচরণ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আরও নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আলজাবের আহমেদ বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকের সঙ্গে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন