শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর)

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম

দরিদ্রতাকে পেছনে ফেলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন সালথার সুব্রত

মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর)

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম

সুব্রত কুমার কুন্ডু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সুব্রত কুমার কুন্ডু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে অসুস্থ শরীর নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন সুব্রত কুমার কুন্ডু। একসময় কান্নাকাটি করে বলেছিলেন, ‘আমি ফেল করব মা!’ কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় পেয়েছেন জিপিএ-৫। অথচ এখন সেই সুব্রতের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। কারণ কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়েই শঙ্কায় তার পরিবার।

সুব্রত ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুদি গ্রামের সুধির কুন্ডুর ছেলে। সুধির কুন্ডু পেশায় একজন ক্ষুদ্র মুদি দোকানদার। আর তার মা গৃহিনী। অভাব-অনটনে কষ্টে চলে তাদের সংসার। বাড়িতে স্মার্টফোন তো দূরের কথা, সাধারণ মোবাইল ফোনও নেই তার বাড়িতে। সুব্রত ৩ ভাই-বোনের মধ্যে ২য়। 

সুব্রত এ বছর উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, যেখানে পাশের হার মাত্র ৩৩.৩৩ শতাংশ, অংশগ্রহণ করা ৬৪ জনের মধ্যে পাশ করেছেন মাত্র ২১ জন। 

এসএসসি পরীক্ষার ঠিক আগে জ্বরে আক্রান্ত হন। এমনকি সুব্রত সর্দিকাশিতে ভুগে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েন। কিন্তু মায়ের হাত ধরে, বাবার সাহসী কথায় ভরসা রেখে পরীক্ষায় অংশ নেন। শারীরিক দুর্বলতা সত্ত্বেও নিয়মিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত ফলাফলে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

তবে সাফল্যের এই গল্পে এখন এক টুকরো কষ্টের ছায়া। কলেজে ভর্তি হওয়া ও উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে সুব্রতর পরিবার। আর্থিক সামর্থ্য নেই, নেই প্রয়োজনীয় বই-খাতা কিংবা কোচিংয়ের সুযোগ।

সুব্রতর মা-বাবার এখন একটাই আকুতি—যদি কেউ এই মেধাবী ছেলেটার পাশে দাঁড়াতেন, তাহলে সে হয়তো আরও এগিয়ে যেতে পারত দেশের জন্য, সমাজের জন্য। এ ধরনের মেধাবী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশা করছে শুভর পরিবার।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালি বলেন, ‘সুব্রত জিপিএ-৫ পাওয়ায় তাকে অভিন্দন জানাই। তার পড়ালেখার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যেকোনো সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন তার পাশে থাকবে।’

Shera Lather
Link copied!