ঢাকা শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫

৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির শূন্য থাকা সাড়ে ৫৮ হাজার পদে নিয়োগ হবে যেভাবে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৫, ০১:২১ পিএম
এনটিআরসিএর লোগো। ছবি- সংগৃহীত

৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪১ হাজার ৬২৭ জন্য প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিলো তাতে শূন্য পদের কথা বলা হয়েছিলো এক লাখ ৪২টি। সেই হিসেবে এখনও শূন্য পদ থেকে গেছে ৫৮ হাজার ৪১৫টি।

এনটিআরসিএর বিশ্বস্ত একটি সূত্র বলছে, পদগুলো শূন্য থাকবে না। খুব দ্রুত তা পূরণ করা হবে।

এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বা এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘খুব শিগগির একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। যার মাধ্যমে এসব শূন্য পদ পূরণ করে ফেলবে এনটিআরসিএ।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন করে দেয়া গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদসহ আরও কিছু পদও যোগ হতে পারে।’

এর আগে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ প্রকাশের পর শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেছিলেন, শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে মেধাবী, যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকদের একটি তালিকা তৈরি করেছি আমরা। এসব শিক্ষকরা আগামী প্রজন্মকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, যারা সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ও নির্দিষ্ট বিষয়ে উপযুক্ত তাদের তথ্য ডিজিটালি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই ডিজিটাল রূপান্তর আগামী দিনগুলোতে আরও শক্তিশালী, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে।

শিক্ষক পদপ্রত্যাশীদের বাদ পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকে নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত পদ, বিষয় ও প্রতিষ্ঠানের যে ধরন, তার বাইরে আবেদন করেছেন। ফলে তারা বাদ পড়েছেন। অনেকে আবার যে প্রতিষ্ঠানগুলো পছন্দের তালিকায় রেখেছেন সেগুলোতে আসন ফাঁকা নেই। বাদ পড়ার এটাও একটা কারণ।

৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে মোট শূন্য পদ ছিল এক লাখ ৮২২টি। পরে ৭৮০টি পদের চাহিদা বাতিল করা হয়। ফলে শূন্যপদ ছিল এক লাখ ৪২টি। এ পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশ পেতে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন। তাদের মধ্যে ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদ শূন্য থেকে গেছে।