বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

ইধিকার ভৌতিক অভিজ্ঞতা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

ইধিকার ভৌতিক অভিজ্ঞতা

ইধিকা পাল। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতার অভিনেত্রী অভিনেত্রী ইধিকা পাল। বাংলাদেশে শাকিব খানের সঙ্গে ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাতে অভিনয় করে এ দেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছেও প্রিয়তমা হয়ে উঠেছেন তিনি।

সম্প্রতি তার ভক্তদের সঙ্গে এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন এই অভিনেত্রী। তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, কাকতালীয় কি কেবল সিনেমাতেই ঘটে? সে রাতে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল আমাদের সঙ্গেও। আপনাদের বলছি কারণ, আমার সঙ্গে আমার বোনও ছিল তখন। ঘটনাটা বহু বছর আগের। গড়িয়া স্টেশনের দিকে একটি বাড়িতে তখন ভাড়া থাকতেন আমার মামারা। সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলাম আমি। এক সন্ধ্যায় আমি আর আমার সেই বোন বসে বসে সিনেমা দেখছি। কী সিনেমা জানেন? ‘ভুলভুলাইয়া’! বাড়িতে শুধু আমি আর বোন ছাড়া ওই মুহূর্তে কেউ ছিল না। আর ওই রাতেই এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হই আমরা।

ওই যে বললাম, সেই ‘কাকতালীয়’ ঘটনার অঙ্ক মেলাতে পারিনি আজও। টিভিতে দিব্যি সিনেমা চলছে। ভয়ও পাচ্ছি, আবার হাসিও পাচ্ছে। এমন সময়ে এক অদ্ভুত গোঙানির আওয়াজ আমাদের দু’জনেরই কানে আসে। সে আওয়াজ এতটাই ভয়ানক যে, যে কেউ শুনলে তার গা ছম ছম করবে। খাটের একদম সামনেই টিভি, পাশেই দরজা এবং সেই দরজার বাইরে থেকেই আওয়াজটা এসেছিল। আমি ভেবেছিলাম ভূতের সিনেমা দেখছি, সেখান থেকেই হয়ত আওয়াজটা এসেছে। কিন্তু যেহেতু আমার বোন ওই সিনেমাটা আগেই দেখে ফেলেছিল, তাই ও ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে গোঙানির আওয়াজ সিনেমার ওই দৃশ্যে ছিলই না!

ইধিকা পাল। ছবি: সংগৃহীত

এর উৎস অন্য কোনও জায়গা! আমি খুব সাহসের সঙ্গে বললাম ওই আওয়াজ সিনেমা থেকেই আসছে। কিন্তু পরে টিভিটা মিউট করতেই পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হল। না, আওয়াজটা তো এখনও কানে আসছে! কিন্তু টিভি তো নীরব! তবে কার গোঙানির আওয়াজ এটা? উত্তর খুঁজে পাওয়ার আগেই আমরা দুজনেই খাটের পিছনে ঢুকে গিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে চিৎকার করতে থাকি। আমাদের চেঁচামেচি শুনে উপর থেকে বাড়িওয়ালিরাও নীচে নেমে আসেন। কিন্তু সেই গোঙানির উৎস খুঁজে পায়নি কেউ। আর শোনাও যায়নি।

কখনও কখনও মনে হয়, কেউ হয়ত ইচ্ছে করেই আমাদের ভয় দেখিয়েছিল সে দিন। তার পরে এটাও ভাবি, ভয় দেখিয়ে পালাবেই বা কোথায়? মামার বাড়ির সামনের রাস্তাটা নেহাত ছোট নয়। আর দু’পাশে পুকুর। লুকোনোর জায়গাও নেই। আর আওয়াজটা এতটাই কাছাকাছি কোথাও থেকে আসছিল যে, দরজার ওপাশে কে লুকিয়ে, তা দেখার ক্ষমতাও আমাদের দু’জনের কারও ছিল না। এত বছর পরে ওই ঘটনাটার কথা মনে পড়লে যেমন ভয় পাই, তেমন হাসিও পায়! ভূতের সিনেমা দেখতে দেখতেই এমন ভৌতিক কাণ্ড ঘটে গেল আমাদের সঙ্গে। সত্যিই কি কাকতালীয় বলুন!

রূপালী বাংলাদেশ/রুআ

Link copied!