নিউ ইয়র্ক নয়, স্পাইডারম্যান এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে গ্লাসগো শহরের ব্যস্ত রাস্তায়! তবে এই স্পাইডারম্যান কিন্তু টম হল্যান্ড নন, অ্যান্ড্রু গারফিল্ড বা টবি ম্যাগুয়ারও নন - এই স্পাইডারম্যানের নাম অ্যান্ড্রু ম্যাকইনেস। বয়স পঞ্চাশ। আর পরিচিতি? ‘ড্যাফ্ট স্পাইডি’, যার অর্থ পাগলা বা বোকা স্পাইডারম্যান!
শুটিংয়ের আগে যখন ইউনিট প্রস্তুত করছে বিশাল সেট, ঠিক তখনই ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ান ক্রাচে ভর দিয়ে এক ‘স্পাইডারম্যান’। গায়ে লাল-নীল টি-শার্ট, মুখে মুখোশ, অটোগ্রাফ দিচ্ছেন স্পাইডারম্যানের পণ্যের ওপর! ভাবটা এমন, যেন টম হল্যান্ড না হলেও তিনিই আসল স্পাইডি।

২০০৭ সালে মার্ভেলের এই চরিত্র সেজে শেড থেকে লাফ দিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু। ফলাফল -দু’পায়ের হাড় ভেঙে চুরমার! সেই গল্প শুনে অনেকেই হয়তো বলবেন, লোকটা শিক্ষা পেলেন। কিন্তু না, অ্যান্ড্রুর মন তো জালের চেয়েও জটিল!
এই ২০২৫ সালের ৪ জুলাই, নিজের পঞ্চাশতম আর ছেলের পনেরোতম জন্মদিন একসঙ্গে পালন করতে গিয়েও থিম রাখলেন ‘হিরো ভার্সেস ভিলেনস’। আবার স্পাইডারম্যান সেজে লাফ দিলেন এক চেয়ারের ওপর থেকে। এবারও ছাড় পেলেন না -ভাঙেন তিনটি হাড়!

সবচেয়ে বড় কথা, তিনি নাকি গর্ব করে বলেন, ‘আমি পৃথিবীর একমাত্র লোক, যে দুইবার স্পাইডারম্যান হয়ে নিজের পা ভেঙেছি!’
তার গায়ে স্পাইডারম্যানের ট্যাটুও আছে! এবং গ্লাসগো শহরের এই চরিত্রের প্রতি মানুষের ভালোবাসা এতটাই প্রবল যে, লোকজন তাকে দেখে থমকে দাঁড়ায়। ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরা এখন তাকেই খুঁজে ফেরে, সিনেমার তারকাদের আগমনের আগেই।

এই মুহূর্তে গ্লাসগো শহরের প্রায় ৬০টি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে ‘স্পাইডারম্যান: ব্র্যান্ড নিউ ডে’ ছবির শুটিংয়ের জন্য। বাস আর ট্যাক্সি লেনেও প্রভাব পড়ছে। পথচারীদেরও একসময় হাঁটা নিষেধ!
কিন্তু এসবের মধ্যেও আলোচনার কেন্দ্রে ‘ড্যাফ্ট স্পাইডি’। কারণ সুপারহিরোদের জালে বন্দী হওয়ার আগেই তিনি নিজের দুই পা ভেঙে ফেলেছেন, তাও ভালোবাসা থেকে!
তথ্যসূত্র: গ্লাসগো টাইমস, নিউজকোয়েস্ট।
আপনার মতামত লিখুন :