আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এমনটাই জানানো হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে। এরপর থেকেই নির্বাচনমুখী হয়ে আছে রাজনৈতিক দলগুলো। এরমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তবে এই তালিকায় নেই শোবিজের কোনো শিল্পীর নাম।
বিএনপির রাজনীতি বা জাতীয়তাবাদী মতাদর্শে বিশ্বাস করেন অনেক শিল্পী। ৫ আগস্টের পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দেখা যাবে তাদের। আর এ তালিকায় সবচেয়ে বেশি যাদের নাম শোনা গেছে তারা হলেন- সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। আছেন অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলও। এমনকি নাম শোনা গেছে আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, হেলাল খান ও খলনায়ক শিবা সানু।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন। ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এই শিল্পীকে। আওয়ামী লীগ শাসনামলে সরকারি বাধায় দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস করছেন তিনি। এবার তার প্রত্যাশা ছিল নীলফামারী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া। কিন্তু ওই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মো. আব্দুল গফুর সরকারকে।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য শিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধায় নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারেননি সেবার। এবারও ওই আসনে কনকচাঁপা নির্বাচন করবেন বলে শোনা গিয়েছিল, তবে সেখানে এখনো কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি দলটি।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনির খানও রয়েছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায়। জাসাসের সাবেক এই নেতার প্রত্যাশা ছিল ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) থেকে মনোনয়ন পাওয়ার। তবে বিএনপি সেখানে প্রার্থী ঘোষণা করেছে মোহাম্মদ মেহেদী হাসানকে।
এ ছাড়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় খল অভিনেতা শিবা সানু কোনো আসনের প্রার্থী হিসেবে পাওয়া যায়নি। এমনকি পাওয়া যায়নি কিংবদন্তী অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এর আগে শিল্পী আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, অভিনেতা হেলাল খানের নাম শোনা গিয়েছিল। তারাও কোথাও নেই।
যদিও একটি সূত্র বলছে, বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকা আদতে চূড়ান্ত নয়। এখানে আরও রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া এখানে আরও বহু প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হয়নি। ফাঁকা আসনগুলোতে জোটের প্রার্থী অথবা বিএনপির নতুন প্রার্থী দেওয়া হতে পারে। ওই সময় হয়তো শিল্পী-তারকাদের নাম বিবেচনায় নেবে দলটি।
        
                            
                                    
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
                                    
                                    
                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                            
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন