কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার রেশ যেন থামছেই না। ভারত সরকারের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় এবার ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কোপ পড়ল পাকিস্তানি তারকাদের ওপর।
হানিয়া আমির, মাহিরা খান, আতিফ আসলাম, আলি জাফর, সেজাল আলি থেকে শুরু করে ইকরা আজিজ, তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঢুকতেই ভারতীয় নেটিজেনরা পাচ্ছেন এক সতর্কবার্তা:-
‘এই অ্যাকাউন্টটির ভারতে কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণ আমরা আইনি অনুরোধ মেনে এই কন্টেন্ট সীমাবদ্ধ করেছি।’
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, সরকারের তরফ থেকে ১ মে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
বলিউডে একসময় যারা বেশ দাপটের সঙ্গে কাজ করতেন, সেসব পাক তারকাদের ভারতে প্রবেশ যেমন অনেক আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল, এবার তাদের ডিজিটাল উপস্থিতিও নিষিদ্ধ হলো।
এ ঘটনায় এক প্রকার ক্ষোভ ঝাড়লেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদিকে উদ্দেশ করে তার প্রশ্ন, ‘কাশ্মীরে যা কিছু খারাপ ঘটেছে তার জন্য একমাত্র দায়ী আসিম মুনিরের কর্মকাণ্ড। আর সে ঘটনার শাস্তি পাবে পাক সিনে ইন্ডাস্ট্রি?’
হানিয়া বলেন , ‘আমরা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ, ভারতের সঙ্গে কোনো অন্যায় করিনি। পেহেলগামে হামলার পিছনে যদি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং ইসলামিক জঙ্গিরা জড়িত হয়, তাহলে আমাদের কেন শাস্তি?’
তিনি অনুরোধ করেন, ‘দয়া করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, নিরীহ নাগরিকদের বিরুদ্ধে নয়।’
ঘটনার সূত্রপাত ২২ এপ্রিল, যখন জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৮ জন পর্যটক। এরপরই একের পর এক কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে ভারত কড়া অবস্থান নেয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
শুধু ইনস্টাগ্রাম নয়, পাকিস্তানের ১৬টি ইউটিউব চ্যানেলও এরই মধ্যে নিষিদ্ধ করেছে ভারত। যার মধ্যে রয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের অফিসিয়াল চ্যানেলও।
যদিও হানিয়া আমিরের মতো অনেক তারকার অ্যাকাউন্ট ব্লক হলেও এখনো পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছেন ফাওয়াদ খান, ওয়াহাজ আলী, মাওরা হোসেন ও ফারহান সাঈদের মতো কিছু নাম।
এ পদক্ষেপকে কেউ কেউ সমর্থন করলেও অনেকেই এটিকে ভারতে জনপ্রিয় পাক তারকাদের বিপুল ভক্তমহলের জন্য হতাশাজনক বলেই মনে করছেন।
কেউ কেউ বলছেন, কূটনীতির খেলায় কেন বারবার বলি হবেন তারকারা?
আপনার মতামত লিখুন :