ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

৭ মাস ওর সঙ্গে থাকা সম্ভব না: সালসাবিল

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
সংগীতশিল্পী নোবেল ও তার স্ত্রী সালসাবিল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ডেমরা থেকে নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলেন, আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারো পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না।

মঙ্গলবার (২০ মে) প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়। পরে ডেমরা থানা-পুলিশও এই তথ্য নিশ্চিত করে।

মামলার বিষয়ে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলছেন, আমি এখন মালয়েশিয়ায় রয়েছি। ফেসবুকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখে জানলাম। নোবেলের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয় না ঠিক, কিন্তু ফোনে কথা হয়। আর যে অভিযোগ শুনলাম, ‘সাত মাস ধরে নোবেল আটকে রেখে ধর্ষণ’- আসলে ওর সঙ্গে সাত মাস কারো পক্ষে থাকা সম্ভব এটা আমার বিশ্বাস হয় না। আর ও নেশাগ্রস্ত, ও কিভাবে আটকে রাখবে?

তিনি বলেন, ও দীর্ঘদিন ধরে রিহ্যাবে ছিল। তারপর ছাড়া পেয়েছে। এরপর আমার সঙ্গে কথা হতো, কিন্তু ওর সঙ্গে যে কেউ থাকত সেটা আমি জানতাম না। যেহেতু মামলা হয়েছে, ধর্ষণের- এখন আদালতে প্রমাণ হবে সত্য-মিথ্যা, আমাকেও সেভাবে অপেক্ষা করতে হবে। 

এর আগে, পুলিশ জানায়, এক শিক্ষার্থীকে সাত মাস ডেমরার একটি বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নির্যাতন করছিলেন নোবেল। ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখানো হলেও তিনি বিয়ে করেননি।

পুলিশের ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন, গত নভেম্বরে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে গুলশানে দেখা করার কথা বলে ডেকে নেন নোবেল। পরে সাত মাস ডেমরার একটি বাসায় তাকে আটকে রাখেন তিনি।

এই সময়ে তিনি ছাত্রীকে নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন। এসব ঘটনা নিজের ফোনে ধারণ করেন। এই ভিডিও দিয়ে ছাত্রীকে তিনি ‘ব্ল্যাকমেল’ করছিলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি নোবেল এক নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামাচ্ছেন, এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে থাকা নারীই এই ভুক্তভোগী ছাত্রী। ভিডিওটি দেখে ছাত্রীর বাবা-মা টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে বিস্তারিত জানতে পারেন। সোমবার (১৯ মে) রাত ১০টার দিকে ডেমরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নোবেল পালিয়ে যান। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাত ২টার দিকে নোবেলকে ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি বলেন, নোবেল সীমান্ত দিয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ জন্য তিনি একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেছিলেন। তবে পালানোর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ছাত্রীটিকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনেও মামলা হয়েছে।