বরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক, লেখক ও একুশে পদক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আবুল হায়াত। থিয়েটার, টেলিভিশন নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে তার বহুমুখী উপস্থিতি আজও দর্শককে মুগ্ধ করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অবিরাম পরিশ্রম, সৃষ্টিশীলতা এবং প্রতিভার ছোঁয়া তাকে সমসাময়িক শিল্পীদের মধ্যে একটি আলাদা মর্যাদা দিয়েছে।
আজ ৭ সেপ্টেম্বর এই বরেণ্য অভিনেতার ৮১তম জন্মদিন। ১৯৪৪ সালের আজকের এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
আবুল হায়াত তার অভিনয় যাত্রা শুরু করেছিলেন থিয়েটার দিয়ে। যদিও তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল থিয়েটার দিয়ে, কিন্তু পরবর্তীতে টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি দেশজুড়ে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। বর্তমানেও সমানতালে অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, দাম্পত্য জীবনেও তিনি সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করছেন।
গুণী এই অভিনেতা বহু বছর ধরে টিভি নাটক, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনে সফলতার সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ রচিত অসংখ্য নাটকে তার অভিনয় নজরকাড়া। বিশেষ করে ‘মিসির আলি’ চরিত্রটি আজও দর্শকদের মনে প্রাণবন্ত। তার প্রথম নাটক ‘ইডিপাস’ ১৯৬৯ সালে প্রচারিত হয়েছিল এবং এরপর একে একে ৫ শতাধিক নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত আবুল হায়াত শুধু অভিনয় দিয়ে দেশজুড়ে নাট্যাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেননি, তিনি বিদেশেও বাংলা নাটকের পরিচিতি ও সমাদর নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্ম হলেও দেশ বিভাগের পর তিনি চলে আসেন চট্টগ্রামে। এরপর বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা শেষ করে ওয়াসাতে প্রকৌশলী হিসেবে নিযুক্ত হন। তবে সেই ইঞ্জিনিয়ারই পরবর্তীতে টিভি নাটকের ইতিহাসে জনপ্রিয় ‘বাবা’ চরিত্রে পরিণত হন।
ব্যক্তিগত জীবনে, ১৯৭০ সালে আবুল হায়াতের সঙ্গে বিয়ে করেন মাহফুজা খাতুন শিরিন। তাদের প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াত জন্ম নেন ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ। ছয় বছর পর জন্ম নেন দ্বিতীয় সন্তান নাতাশা। বর্তমানে বিপাশা হায়াতের স্বামী অভিনেতা-নির্মাতা তৌকীর আহমেদ, আর নাতাশার স্বামী শাহেদ। দুই মেয়েই এখন সংসারজীবনে সুখী ও সফল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন