সিনেমার গল্পের চেয়েও বেশি ঘটনাবহুল বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের জীবন। বিভিন্ন বিতর্ক ও জেলজীবন পেরিয়ে আসা এই তারকার জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় এসেছিল ২০২০ সালের আগস্ট মাসে। তখন তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এই রোগ তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যন্ত কঠিন এক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। কারণ ক্যানসারটি ছিল চতুর্থ স্টেজে।
অভিনেতা জানান, লকডাউনের সময় সেটি ছিল একটি স্বাভাবিক দিন। তিনি সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পর পুরোপুরি হাঁপিয়ে যান। গোসল করার পরেও তিনি শ্বাস নিতে পারছিলেন না। কী ঘটছে তা তিনি বুঝতে পারছিলেন না। তাই তিনি ডাক্তারকে ফোন করেন। এক্স-রে রিপোর্টে দেখা যায়, তার ফুসফুসের অর্ধেকের বেশি অংশে পানি জমে আছে। সেই পানি বের করা হয়। ডাক্তাররা আশা করেছিলেন এটি যক্ষ্মা হবে। কিন্তু শেষে জানা যায়, সেটি ছিল ক্যানসার।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করার অভিনেতা দুই-তিন ঘণ্টা ধরে কেঁদেছিলেন। তবে, তিনি নিজের চেয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন। সেই কারণেই তিনি রোগটিকে পরাস্ত করার জন্য দৃঢ়প্রত্যয়ী হন।
প্রথমে তারা যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অভিনেতার ভিসা বাতিল হওয়ায় তিনি ভারতেই চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই সময় পরিচালক রাকেশ রোশন তাকে সঠিক চিকিৎসকের সন্ধান পেতে সহায়তা করেন। রাকেশ রোশন নিজেও ২০১৮ সালে গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই তিনি এ বিষয়ে সঠিক ব্যক্তিদের চিনতেন।
সঞ্জয় জানান, চিকিৎসা শুরুর আগে ডাক্তাররা তাকে সতর্ক করেছিলেন যে চুল পড়ে যাওয়া এবং বমির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। কিন্তু দত্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ডাক্তারকে বলেছিলেন, ‘আমার কিছু হবে না।’ অভিনেতা কেমোথেরাপির জন্য দুবাই যেতেন। তা সত্ত্বেও, তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য মানসিক দিক থেকে নিজেকে শক্ত রেখেছিলেন এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাইকেল চালানো ও ব্যাডমিন্টন খেলা চালিয়ে যেতেন।

