ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস ২০০৮ সালে প্রেম করে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। এ খবর দীর্ঘদিন গোপন রাখার পর, ২০১৭ সালে টেলিভিশনের এক লাইভ অনুষ্ঠানে ছেলে জয়কে সঙ্গে নিয়ে তাদের বিয়ের কথা প্রকাশ করেন অপু। তাদের বিয়ের খবর প্রকাশের পর অপু বিশ্বাস সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে গুজব রটে।
আলোচিত অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের সঞ্চালনায় এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস জানান, আসলে তিনি বরাবরই হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন এবং ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে মিথ্যা বলতে হয়েছিল ক্যারিয়ার এবং সন্তানের কথা ভেবে।
বিষয়টি নিয়ে ফের সংবাদ ও বিতর্ক তৈরি হতেই সামাজিক মাধ্যমে জয় অপুর উদ্দেশে বলেন, ‘প্রিয় অপু বিশ্বাস। ধর্ম নিয়ে মিথ্যা কথা বলা যায় না। ধর্ম নিয়ে মিথ্যে মানে তুমি একবার বিশ্বাস করছো আল্লাহকে। আরেকবার বলছ বিশ্বাস করো না। মুসলমান ভাই বোনেরা তোমার এই মিথ্যাতে কষ্ট পেয়েছে। একইভাবে তোমার ধর্মের মানুষও তাতে বিব্রত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ার স্বামী সন্তান সব কিছুকে ব্যালেন্স করতে গিয়ে তুমি যে মিথ্যার আশ্রয়টি নিয়েছো তা তোমাকে আশ্রয়হীন বানিয়ে দিয়েছে। তোমার নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত। ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষমা করে দেওয়া এই দুটোই অনেক বড় মহত্বের কাজ। তুমি মহৎ হও অন্যরাও তোমার সাথে মহত্বের পরিচয় দেবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে সেই পুরোনো সাক্ষাৎকারে অপু বলেছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে বিয়ের পরও আমি পুরোনো ধর্ম নিয়েই ছিলাম। ক্যামেরার সামনে অনেক মিথ্যা বলেছি কিছু কিছু জিনিসের কারণে। প্রথম দিকে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য মিথ্যা বলেছিলাম। তা ছাড়া ওই সময় শাকিব আমার স্বামী ছিল। তাকে সমর্থন করাটা আমার দায়িত্ব ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক প্রোগ্রামে বা শুটিংয়ে একজন অন্যজনকে প্রশ্ন করতাম কবে বিয়ে করছো? সেও আমাকে উল্টো প্রশ্ন করত আমার বিয়ে কবে হচ্ছে? অনুষ্ঠান শেষে রাতে বাড়ি ফিরে রান্না করে খাওয়াচ্ছি। আমরা তখন রানিং স্বামী-স্ত্রী।’
অপু বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে যখন লাইভে আসলাম তখন সবাই জানতে পারল আমি বিবাহিত। সবাই মনে করত আমি যেহেতু একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী ছেলেকে বিয়ে করেছি আমিও মুসলমান হয়েছি। কিন্তু আমি বিয়ের পর থেকেই হিন্দু। কারণ হিন্দু থেকে মুসলিম হওয়ার জন্য প্রক্রিয়াধীন কাজগুলো হয় তার একটাও তারা (শাকিবের পরিবার) করেননি।’
তিনি বলেন,‘ বিয়ের সময় মুসলিম ধর্মে এসে এখন হিন্দু ধর্মে ফিরে গিয়েছি বিষয়টা তা না। আমার ছেলের জন্য মিথ্যা বলেছি। সেই সময় যেহেতু আমার বাচ্চা হয়ে গেছে। আর শাকিবকে বিয়ে করেছি সে মুসলিম। সেই জায়গায় থেকে ভেবেছি সংসার ঠিকঠাক থাকুক। যেমনটা বিয়েকে আড়াল করেছিলাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিয়ের কথা প্রকাশ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিনশেষে আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমি যদি মারা যাই তখন আমার কাছের ভাই-বন্ধুরা আছেন, আমার যে অনুরাগী বা দর্শকরা আছেন তারা আমাকে কী করবে? মাটি দেবে নাকি আগুনে পুড়াবে? মানুষ তো তখন দ্বিধায় পড়ে যাবে। শাকিব খানের সঙ্গে তো আমার সম্পর্ক নেই। তাহলে সত্য তো বলতে হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :