রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় নিজ বাসায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে গৃহবধূ ফাহমিদা তাহসিন কেয়ার (২৫)। ঘটনার পরপরই তার স্বামী সিফাত আলী পলিয়ে যায়।
ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহত কেয়ার পরিবার ও স্বজনরা মরদেহ নিয়ে মিরপুর মডেল থানার সামনে বিক্ষোভ করেন।
এসময় নিহতের মা নাজমা বেগম নিহতের স্বামী সিফাত আলীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে সিফাতের গাড়িচালকও রয়েছেন।
কেয়ার ফুপা শামসুদ্দোহা খান জানান, আমাদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছে না।
এছাড়া কেয়ার চার সন্তান শ্বশুরবাড়ির লোকদের কাছে জিম্মি রয়েছে। বাচ্চাদের সঙ্গে আমাদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই আমরা মরদেহ নিয়ে থানায় বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছি।
মিরপুর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ রোমান বলেন, ‘সন্তানদের বিষয়ে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে কিছু করতে পারি না। কেয়া ও তার পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। শ্বশুরবাড়ির পক্ষও উপস্থিত। দুই পক্ষ বসলে বিষয়টি সমাধান হবে।’
পুলিশ জানিয়েছে, কেয়ার মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে কেয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। পরে রাত ২টার দিকে সিফাত আলী ফোনে কেয়ার মাকে জানায়, কেয়া অসুস্থ। হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে সিফাত পালিয়ে যান। পরবর্তীতে বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বাসায় তালা দিয়ে সিফাত উধাও হয়েছেন।