এমনই কোনো এক ডিসেম্বরে,
সে এসেছিলো—
চোখে নিয়ে তুষারের মতো নীরবতা,
তার হাসিতে ছড়িয়ে পড়েছিলো শীতের সকালের রোদ।
আমার চিলেকোঠার জানালায় জমে থাকা কুয়াশা,
সেদিন গলে গিয়েছিলো অজানা উষ্ণতায়।
তারপর সময় বয়ে গেলো নদীর মতো।
অনেকগুলো ডিসেম্বর এলো-গেলো—
সে চোখ আর দেখা যায়নি।
তুষারের নীরবতাগুলো শূন্যতায় মিশে গেলো,
শীতের রোদ জমা হলো অতীতের কোনো পুরনো ক্যালেন্ডারে।
আমি খুঁজেছিলাম তাকে—
তারা ভরা আকাশে, লোকালবাসের ভিড়ে,
নদীর মাঝির গানে, সদরঘাটের ভাঙা চেয়ারগুলোতে।
কেউ কেউ বলেছিলো, সে ধোঁয়া হয়ে গেছে—
জীবনের চুলায় জ্বলে যাওয়া কাঠের মতো।
তবু মনে হয়, সে আসবে
কোনো এক ডিসেম্বরে, আবার
তার চোখে নীরবতা নিয়ে—
আমার শূন্যতার জানালায়।
অথচ এও জানি, জীবন কেবল প্রতীক্ষা—
এক নিরবধি ডিসেম্বরের পেছনে ছুটে চলা।