প্রেমে পড়তে সবার কাছেই ভালো লাগে। প্রতিটি মানুষই চায় প্রেম করতে। তবে সবার ক্ষেত্রে কি সেই প্রেম টিকে? এমন অনেকেই আছেন যাদের প্রেম হয়ে উঠলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে হয়তো নির্দিষ্ট একটি কারণ বের করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই কারণটি কতটা যৌক্তিক, এর পেছনেও কোনো কারণ রয়েছে কি না, কিংবা কেনইবা বারবার এমনটা হচ্ছে তা কী কখনো জানতে চেয়েছেন?
বারবার প্রেম বা সম্পর্কে বিচ্ছেদ হলে কীভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবেন এবং এর সমাধান করবেন কীভাবে তা এবার তুলে ধরা হলো-
১. সঙ্গীর প্রতি যদি কোনো বিশ্বাস বা ভরসা রাখতে না পারেন তাহলে তাকে ঘন ঘন সন্দেহ করা স্বাভাবিক। এ ছাড়াও সময়-অসময়ে তাকে একের পর এক প্রশ্ন করলে তার মনে দ্বিধা জাগবে। কেনইবা আপনি তাকে এভাবে সময়-অসময়ে প্রশ্ন করেন, এটা বিপরীত মানুষটি বুঝতে পারলে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক আর ধরে রাখবে না। সন্দেহ নিয়ে কখনো সম্পর্ক গড়া যায় না। এখনই নিজেকে শুধরে নিন।
২. বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে অন্যদের মতো বিপরীত মানুষটির কাছ থেকে ক’দিন পর পর শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো, বিভিন্ন দিবসে গিফট নেওয়া ইত্যাদির মতো অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করুন। সত্যিকার অর্থেই যদি ভালোবাসেন তাহলে কখনো নিজ অর্ধাঙ্গিনীর অর্থ এভাবে খরচ করার অর্থ দাঁড়ায় না। বরং ভবিষ্যতে কীভাবে দুজন সংসার সাজাবেন সেই পরিকল্পনা করে অর্থ সঞ্চয় করুন।
৩. চাহিদা কমিয়ে ফেলুন। প্রয়োজন ছাড়া কখনো কোনো জিনিস নয়। মনে রাখবেন, বিলাসিতায় সাময়িক সুখ বা অন্যের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়। দিন শেষে রাতে বা ভবিষ্যতে কেউ পাশে দাঁড়াবে না। স্বপ্ন ও চাওয়া থাকবে, এটা স্বাভাবিক। তবে সেই স্বপ্ন যেন আকাশছোঁয়া বা মাত্রাতিরিক্ত না হয়। বিপরীত মানুষটির কথা ভেবে কিংবা নিজেদের আয়ের কথা ভেবে তবেই স্বপ্ন নিয়ে ভাববেন। এমন অনেকে আছেন যারা প্রেম-ভালোবাসার অভিনয় করে শুধুই সঙ্গীর অর্থ ব্যয় করেন।
৪. কখনো বিপরীত মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইবেন না। প্রতিটি মানুষেরই নিজ স্বাধীনতা রয়েছে। বিপরীত মানুষটির ভুল-ত্রুটি থাকলে তাকে ধরিয়ে দিবেন। দুজন একসঙ্গে পরামর্শ নিবেন, দেখবেন সম্পর্ক অনেক মজবুত হয়েছে এবং সংসার জীবন হবে অনেক সুন্দর।
সূত্র: কলকাতা ২৪৭
আপনার মতামত লিখুন :