প্রবাদে আছে-‘সময় ও স্রোত’ কারও জন্য অপেক্ষা করে না। সাধারণভাবে বলা যায়, আজ যা অতীত আগামীকালের জন্য তা-ই ইতিহাস। আর এই সময়টাতে ঘটে চলে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সব ঘটনা ইতিহাসে স্থান পায় না। ইতিহাস আমাদের পথ দেখায়, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলি। সে জন্য আমাদের অতীতের উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি জানা দরকার।
কথা আছে- ‘সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।’ এই কথাটির মধ্যে নিহিত আছে চরম বাস্তবতা ও জীবনের গতিময়তার অনন্য এক দর্শন। সময় এক অনির্বচনীয় শক্তি, যা তার নিজের গতিতে ছুটে চলে- নিরবিচারে, নিরন্তর। কারো জন্য সে থামে না, বিরতি নেয় না, পেছন ফিরে তাকায় না। এই সময়ের প্রবাহেই রচিত হয় ইতিহাস, গঠিত হয় সভ্যতার কাঠামো, আর পরিবর্তিত হয় জাতির ও ব্যক্তির ভাগ্যরেখা।
আজ যা আমাদের চারপাশে ঘটে চলেছে- তা কালকের জন্য হয়ে উঠবে অতীত। আর সেই অতীত, যদি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে তা হয়ে ওঠে ইতিহাসের অংশ। তবে সব ঘটনা ইতিহাসে জায়গা পায় না। কেবলমাত্র সেইসব ঘটনা, যেগুলো মানুষের জীবনে, সমাজে কিংবা জাতির ইতিহাসে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে, সেগুলোই স্থান পায় ইতিহাসের পাতায়।
ইতিহাস কেবল ঘটনার সমষ্টি নয়, এটি এক জীবন্ত দলিল। ইতিহাস আমাদের শেখায়- কীভাবে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয়, কীভাবে সংগ্রাম করতে হয় অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য, কীভাবে মানুষের চিন্তা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, সাহিত্য এবং রাজনীতি ধাপে ধাপে বিকশিত হয়েছে। অতীতের পদচিহ্ন ধরে হেঁটেই আমরা আজকের সভ্যতায় পৌঁছেছি। তাই আমাদের দায়িত্ব- এই অতীতকে জানা, বোঝা এবং সম্মান করা।
একজন সচেতন মানুষ বা জাতির জন্য ইতিহাস জানা শুধু প্রয়োজনীয় নয়, বরং অপরিহার্য। কারণ, ইতিহাস না জানলে আমরা ভবিষ্যতের পথে অন্ধকারে হাঁটতে বাধ্য হবো। অতীতের আলোই আমাদের ভবিষ্যতের দিশা দেখায়।
এজন্যই সময়কে ধারণ করতে হলে, ইতিহাসকে জানতে হবে। আজকের দিনটি- ১১ আগস্ট, তার ব্যতিক্রম নয়। এই দিনে অতীতে যে সব ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের জানা থাকা উচিত-জীবনের পাঠ হিসেবে, সময়ের সাক্ষী হিসেবে।
আজকের ঘটনাবলি
৬৮৩ - মুসলমানরা সমরখন্দ বিজয় লাভ করে। ১৭৮০ - বার্বাডোজে হারিকেন শুরু হয়।
১৮১০ - আজোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাও মিগুয়েল গ্রাম তলিয়ে যায়।
১৮৮৪ - টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকডোনেল।
১৮৮৮ - বন্ধ হয়ে যায় ক্যালিফোর্নিয়া থিয়েটার। ১৯০৮ - বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি কার্যকর হয়।
১৯০৯ - রেডিওর বিপদবার্তা বা এসওএসের ব্যবহার শুরু হয়।
১৯১৪ - জন রে অ্যানিমেশন পেটেন্ট করেন।
১৯২২ - কাজী নজরুল ইসলামের ধূমকেতু পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৯২৯ - ইরাক ও পারস্য শান্তিচুক্তি করে।
১৯২৯ - রাশিয়া ও চীনের সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৫২ - মানসিক অসুস্থতার জন্য জর্দানের বাদশাহ তালাল সিংহাসনচ্যুত হন।
১৯৬১ - ভারতে পূর্বে পর্তুগিজ শাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলিকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত ও একত্র করে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি গঠন করা হয়।
১৯৮৬ - এশিয়ার জনসংখ্যা ৩০০ কোটি পূর্ণ হয়।
২০০৪ - পাকিস্তান পরমাণু বিস্তার রোধ না করলে দেশটির ওপর মার্কিন কংগ্রেসের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব গ্রহণের আহ্বান করা হয়।
২০০৮ - গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল শেষ হয়। একই দিনে মহিলাদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
২০১২ - বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফাত জামিল বীর বিক্রমের মৃত্যু।
জন্ম
১৭৩৭ - ইংরেজ ভাস্কর জোসেফ নোলেকেনস।
১৮৫৮ - নোবেলজয়ী ওলন্দাজ চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান আইকমান।
১৮৭০ - টম রিচার্ডসন, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯০৮ - পুলিনবিহারী সেন খ্যাতনামা বাঙালি রবীন্দ্র-বিশারদ।
১৯১১ - প্রেম ভাটিয়া, সাংবাদিক।
১৯২৯ - মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ভারতীয় বাঙালি সংগীতশিল্পী ও সুরকার।
১৯৩৭ - সালমা সোবহান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী।
১৯৩৮ - চঞ্চল কুমার মজুমদার, শান্তিস্বরূপ ভটনাগর পুরস্কারে সম্মানিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৬৫ - ভায়োলা ডেভিস, মার্কিন অভিনেত্রী ও প্রযোজক।
১৯৭০ - জিয়ানলুকা পেসোত্তো, ইতালীয় ফুটবলার।
১৯৮৩ - ক্রিস হেমসওর্থ, অস্ট্রেলীয় অভিনেতা।
মৃত্যু
১৯০৮ - ক্ষুদিরাম বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঙালি বিপ্লবীর ফাঁসির মঞ্চে আত্মবলিদান।
১৯৩৫ - স্যার দেবপ্রসাদ সর্বাধিকারী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বেসরকারি উপাচার্য।
১৯৫৫ - অমলেন্দু দাশগুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক।
১৯৭০ - ইরাবতী কার্বে ভারতের মহারাষ্ট্রের একজন নৃবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং লেখক।
১৯৭২ - নোবেজয়ী আফ্রিকান-মার্কিন অণুজীব বিজ্ঞানী ম্যাক্স থিলাব।
১৯৯০ - ননীগোপাল চক্রবর্তী বাঙালি শিশু সাহিত্যিক।
১৯৯৫ - আলোন্জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।
২০১২ - শাফায়াত জামিল বীর বিক্রম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
২০১৮ - বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল, ভারতীয়-নেপালীয় বংশোদ্ভূত ত্রিনিদাদীয় সাহিত্যিক।
-20250811154438.webp)
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন