বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


এসএ সোনিয়া

প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৪, ০৯:১৬ এএম

হাঁসের ডিম স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?

এসএ সোনিয়া

প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৪, ০৯:১৬ এএম

হাঁসের ডিম স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী?

ছবি: সংগৃহীত

ডিম হলো প্রোটিনের একটি পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের উৎস, যা মানুষ লাখ লাখ বছর ধরে খাচ্ছে। ডিমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় মুরগির ডিম। মুরগির ডিম ছাড়াও আছে হাঁস, কোয়েলের ডিম। হাঁসের ডিমের জনপ্রিয়তা রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য স্থানে।

শরীরের জন্য কোনটি বেশী উপকারী হাঁস না মুরগির ডিম?  এই নিয়ে বিতর্ক বহু পুরনো। বিশেষ করে যারা স্বাস্থ্য সচেতন, পুষ্টিগুণ নিয়ে মাথা ঘামান, তারা হাঁস আর মুরগির ডিমের গুণাগুণ বিশ্লেষণে ব্যস্ত থাকেন।

আজ হাঁসের ডিম এবং মুরগির ডিমের মধ্যে পুষ্টির পার্থক্য সম্পর্কে জানব। মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিম আকারে বড়। খোসাটাও তুলনামূলকভাবে শক্ত। আকারে বড় হওয়ার কারণে হাঁসের ডিমের কুসুমও বড় হয়। হাঁসের ডিম বিভিন্ন রঙের হয়। তবে খোসা শক্ত হওয়ার কারণে ফাটাতে অসুবিধা হয়। কিন্তু এই কারণেই হাঁসের ডিম প্রায় ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত রেখে খাওয়া যেতে পারে। যদিও, টাটকা ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

বড় কুসুমের কারণে, হাঁসের ডিমে চর্বি এবং কোলেস্টেরল উভয়ই মুরগির ডিমের তুলনায় বেশি থাকে। কার্বোহাইড্রেট ও খনিজের পরিমাণ সমান হলেও হাঁসের ডিমে প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে। যারা ডায়েটে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খোঁজেন তাদের জন্য হাঁসের ডিম ভালো। হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। এতে অতিরিক্ত ভিটামিন বি ১২ রয়েছে, যা লোহিত রক্তকণিকা গঠন, ডিএনএ সংশ্লেষণ এবং স্বাস্থ্যকর স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়।

হাঁসের ডিমে থাকা ভিটামিন বি ১২ হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রক্ত ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এতে থাকা সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হাঁসের ডিমে রিবোফ্লাভিন নামে একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে।

পুষ্টির দিক থেকে হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে অনেক এগিয়ে। হাঁসের ডিমে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন এ, থায়ামিন ইত্যাদি মুরগির ডিমের তুলনায় ১০০ গ্রাম বেশি থাকে। এগুলি ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা স্বাভাবিক মানুষের বিপাকের জন্য অতি প্রয়োজনীয়৷

২০১৫ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, হাঁসের ডিমের সাদা অংশে থাকা পেপটাইডগুলি প্রয়োজনীয় খনিজ ক্যালসিয়াম শোষণ করে হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ২০১৪ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, হাঁসের ডিমের সাদা অংশে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা হৃদরোগ এবং নিউরোডিজেনারেটিভ অবস্থাসহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

 

Link copied!