ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। ছবি: সংগৃহীত

ছোট অথচ শক্তিশালী শুকনা ফল, জানুন কীভাবে শরীরের জন্য উপকারী।আবার অতিরিক্ত খেলে কী ক্ষতি হতে পারে।কিসমিস, অর্থাৎ শুকনো আঙুর, আমাদের খুব পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি শুকনা ফল। ছোট এই ফলটি স্বাদে মিষ্টি, আবার পুষ্টিতে ভরপুর। দেহে শক্তি যোগানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ, হজমশক্তি উন্নত করা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোসহ কিসমিসের রয়েছে অনেক উপকারিতা। তবে অতিরিক্ত খেলে কিছু অপকারিতাও হতে পারে, যা জেনে রাখা জরুরি।

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়

কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) থাকে, যা শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয়। যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন বা খেলাধুলা করেন, তাদের জন্য কিসমিস দারুণ উপকারী।

হাড় মজবুত করে

কিসমিসে ক্যালসিয়াম ও বোরন থাকে, যা হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমায়।

হজমশক্তি উন্নত করে

কিসমিসে থাকা ফাইবার অন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।

রক্তস্বল্পতা দূর করে

কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, কপার ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে।

হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক

কিসমিসে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী

কিসমিসে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ত্বককে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখতে এবং চুলের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কিসমিসে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা

অতিরিক্ত ক্যালোরি ও ওজন বৃদ্ধি

কিসমিসে প্রাকৃতিক চিনি ও ক্যালোরি বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সতর্কতা

যেহেতু কিসমিসে শর্করার পরিমাণ বেশি, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

দাঁতের ক্ষতি

কিসমিস আঠালো হওয়ায় দাঁতের মধ্যে লেগে থাকতে পারে, যা দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাভিটির কারণ হতে পারে। তাই কিসমিস খাওয়ার পর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত।

অ্যালার্জির ঝুঁকি

অনেক সময় কিসমিস সংরক্ষণের সময় রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়, যা কিছু মানুষের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। তাই ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত।

কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম

দিনে ১০-১৫টি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।
অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া উচিত নয়।
বাজার থেকে কিনে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
ডায়াবেটিস বা ওজন বেশি থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।

কিসমিস ছোট হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে কিসমিস খেলে শরীরের নানা উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত বা অসচেতনভাবে খেলে কিছু ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই বুঝে-শুনে কিসমিস খান, সুস্থ থাকুন।