হঠাৎ করে ৩৫২টি ড্রোন ও ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাসের কাছে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে মার্কিন দূতাবাস ভবন ক্ষতিগ্রস্থ এবং এক শিশুসহ ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে ছয়জন রাজধানীর একটি বহুতল ভবনে ছিলেন। এ ছাড়া শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
তবে কিয়েভের জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, হামলায় চার শিশুসহ কমপক্ষে ৩৪ জন আহত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে ইহোর ক্লাইমেনকো বলেছেন যে আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল এবং ক্রীড়া অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও তার আশপাশে মধ্যরাতে ব্যাপক হামলা চালায় রাশিয়া। এ হামলায় শক্তিশালী ড্রোন-মিসাইল ব্যবহার করে মস্কো। এতে নিহত হয় ১০ জন এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয় ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, তারা চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলে আক্রমণ করেছে। রাশিয়ার ৩৫২টি ড্রোনের মধ্যে ৩৩৯টি এবং ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৫টি ভূপাতিত করেছে তারা।
আবাসিক এলাকায় আগুন লেগে রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মেট্রো স্টেশন ও বোমা আশ্রয়কেন্দ্রের প্রবেশপথ। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। সেখান থেকে উদ্ধারকর্মীরা মৃতদেহ উদ্ধার করছেন।
৩৩ বছর বয়সী ভ্যালেরি মানকুতা বর্ণনা করেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পর তিনি তার জানালা দিয়ে তৃতীয় তলায় লাফিয়ে পড়েন। কীভাবে বেঁচে গেছি জানি না। ভয়ংকর বিস্ফোরণ হচ্ছিল। রয়টার্স ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছে। হামলার পর সেসবের ছবি তুলে রেখেছেন সাংবাদিকরা।
নির্মাণশ্রমিক মানকুতা বলেন, আমার গায়ে ইট ভেঙে পড়ে। আমার মুখে বালু ঢুকে যায়। এটা সম্পূর্ণ নরক ছিল। আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে চাপা পড়ি। সেখান থেকে কোনো মতে বের হই।