অবহেলিত হলেও পুষ্টিতে ভরপুর, স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর
আমরা অনেকেই তরমুজের মিষ্টি ও রসালো অংশ খেয়ে বীজ ফেলে দিই। অথচ এই ছোট ছোট কালো বা সাদা বীজে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। নিয়মিত পরিমাণমতো তরমুজের বীজ খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে
তরমুজের বীজে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন থাকে। এটি শরীরের পেশী গঠনে সাহায্য করে এবং দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে কার্যকর।
হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় সহায়ক
তরমুজের বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড) ও ম্যাগনেসিয়াম, যা হার্টের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এই বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিঙ্ক ও ভিটামিন বি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে বিভিন্ন ভাইরাস বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে
তরমুজের বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড় ও দাঁত মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী
বীজে থাকা ফ্যাটি এসিড, প্রোটিন ও মিনারেল ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে, ফলে চুল পড়া কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
তরমুজের বীজে থাকা কিছু উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি মানসিক চাপ কমাতে এবং মন শান্ত রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
কীভাবে খাবেন?
তরমুজের বীজ ধুয়ে শুকিয়ে তা ভেজে বা কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। কেউ কেউ এগুলো পেস্ট করে বা সালাদে ব্যবহার করেন। আবার শুকনো বীজ গুঁড়া করে পানিতে মিশিয়েও খাওয়া যায়।
তরমুজের বীজ অবহেলার জায়গা থেকে তুলে এনে খাদ্য তালিকায় যোগ করলে সহজেই প্রচুর পুষ্টি উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, হার্টের সুস্থতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ত্বক-চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় অসাধারণ কার্যকর। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আপনার মতামত লিখুন :