ঢাকা শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার সহজ ৬ কৌশলে

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখা আর জীবনের বড় লক্ষ্য পূরণের মধ্যে রয়েছে এক গভীর সম্পর্ক। এই নিয়ন্ত্রণ বা আত্মনিয়ন্ত্রণ এমন একটি দক্ষতা- যা আমাদের তাৎক্ষণিক আরাম নয় বরং ভবিষ্যতের ভালো ফল বেছে নিতে শেখায়। জন্ম থেকেই এটি কারও মধ্যে থাকে না বরং নিয়মিত অনুশীলন আর সঠিক পরিবেশের মাধ্যমে গড়ে ওঠে।

সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে আত্মনিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর ছয়টি সহজ উপায়ের কথা বলা হয়েছে, যা মানলে আপনার জীবন হতে পারে আরও গুছানো ও শান্তিময়।

১. স্পষ্ট ও ছোট লক্ষ্য ঠিক করা দরকার। ফিট হব বা বেশি পড়ব বললে কাজ শুরু করা কঠিন হয়। তার বদলে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিন, যেমন- সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার সকাল ৭টায় ২০ মিনিট হাঁটবেন। ছোট ও পরিস্কার লক্ষ্য কাজকে সহজ করে তোলে এবং নিয়মিত থাকতে সাহায্য করে।

২. ছোট ছোট অভ্যাস তৈরি করুন। উদ্দীপনা সবসময় একরকম থাকে না, কিন্তু অভ্যাস থাকলে কাজ থেমে যায় না। প্রতিদিন অল্প কিছু করুন। যেমন এক পৃষ্ঠা পড়া বা দুটি পুশআপ করা। পরে ধীরে ধীরে সময় বা পরিমাণ বাড়াতে পারেন। পুরনো অভ্যাসের সঙ্গে নতুনটি যুক্ত করলে (কফি বানানোর পর এক পৃষ্ঠা পড়ব) সেটি দ্রুত স্থায়ী হয়।

৩. পরিবেশ এমনভাবে সাজান যাতে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। যেমন- স্বাস্থ্যকর খাবার সামনে রাখুন, ক্ষতিকর খাবার চোখের আড়ালে রাখুন, কাজের জায়গা গুছিয়ে রাখুন এবং ফোনের অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুন। এতে ইচ্ছাশক্তি কম খরচ হয় আর সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

৪. অগ্রগতি লিখে রাখুন ও কাউকে জানান। নিজের কাজ ট্র্যাক করতে নোটবুক বা অ্যাপ ব্যবহার করুন। বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কারও সঙ্গে লক্ষ্য ভাগ করে নিন। এতে দায়িত্ববোধ বাড়ে আর মাঝপথে থেমে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

৫. আত্মনিয়ন্ত্রণ অনুশীলন করুন ধীরে ধীরে। এটি পেশির মতো ব্যবহারে শক্তিশালী হয়। যেমন, কিছু কাজ অপ্রধান হাতে করা বা কোনো আনন্দ কিছু সময় দেরিতে উপভোগ করা এই ছোট ছোট অনুশীলন মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত করে তোলে।

৬. বিশ্রাম ও ঘুমকে গুরুত্ব দিন। সারাক্ষণ কাজ করাই শৃঙ্খলা নয় বরং কখন বিরতি নিতে হবে, সেটি জানাও আত্মনিয়ন্ত্রণের অংশ। পর্যাপ্ত ঘুম, অল্প হাঁটা বা ধ্যান মনকে সতেজ রাখে এবং মনোযোগ বাড়ায়।