গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তরুণ এই নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া তাদের মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন। এনসিপি সদস্য, পুলিশ ও গণমাধ্যমের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং সহিংস আক্রমণ করা হয়েছে। এই হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা ছাড় পাবে না। অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
এতে আরও বলা হয়, ‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশ এবং হুমকি সত্ত্বেও সমাবেশ চালিয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের সাহসিকতার প্রশংসা করি। এই বর্বরতার জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। স্পষ্টতই আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে এবং থাকবে।’
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সমাবেশ শুরুর আগে এবং শেষে ফিরে যাওয়ার পথে সড়ক অবরোধ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। পরে রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় কারফিউ ঘোষণা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :